দেশের প্রাকৃতিক সম্পদ বিক্রি করতে রাজি না হওয়াকেই ২০০১ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়ী হয়ে ক্ষমতায় আসতে না পারার কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ জন্য যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতকে দায়ী করেছেন তিনি।
রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে শনিবার সকালে বিশ্ব খাদ্য দিবস উপলক্ষে এক আলোচনা অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জাতির পিতা যে সমুদ্রসীমা আইন করে গিয়েছিলেন ৭৫-পরবর্তী যে সরকারগুলো এসেছিল জিয়াউর রহমান, এরশাদ ও খালেদা জিয়া, কেউই কিন্তু আমাদের সমুদ্রসীমায় যে আমাদের অধিকার আছে- এ কথা উচ্চারণও করেনি বা বলেনি বা দাবিও করেনি। '৯৬ সাল থেকে এটা আমরা শুরু করি।
‘২০০১ এ আমরা সরকারে আসতে পারলাম না। কারণ গ্যাস বিক্রি করার মুচলেকা দেইনি বলেই আমাকে আর ক্ষমতায় আসতে দেয়া হলো না। বৃহৎ দুটি দেশ আর প্রতিবেশী দেশের চাহিদা পূরণ করতে পারিনি।’
বিষয়টি ব্যাখ্যা করে সরকারপ্রধান বলেন, ‘নিজের দেশের সম্পদ বিক্রি করবার আগে আমার কথা ছিল, আগে আমার দেশের মানুষের চাহিদা পূরণ হবে। ৫০ বছরের মজুত থাকবে, তারপর যেটা উদ্বৃত্ত থাকবে সেটা আমি বেচতে পারি। তা ছাড়া এ দেশের সম্পদ আমি বেচতে পারি না।
‘এই কথা এত বিশাল দেশ আমেরিকা আর পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের পছন্দ হয়নি। কাজেই ২০০১-এ আমি ক্ষমতায় আসতে পারিনি।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা কিছু ব্যবস্থা নিয়েছিলাম, তারপর ২০০৯-এ সরকার গঠনের পর উদ্যোগ নিই। এখন আমরা বিশাল সমুদ্রসীমা অর্জন করতে পেরেছি। সমুদ্রসম্পদ আমাদের অর্থনীতিতে কাজে লাগাতে ব্লু ইকোনমি কর্মসূচি আমরা গ্রহণ করেছি। এতে আমাদের খাদ্য ও পুষ্টি চাহিদা অনেকটাই পূরণ হবে। এরই মধ্যে সমুদ্রে কিন্তু পিইউড উৎপাদন শুরু হয়ে গেছে। এটা একটা ভালো লক্ষণ।’
‘কৃষিবিদদের অবদানেই কৃষি খাতে উন্নয়ন’
কৃষি খাতে দেশে যে উন্নয়ন হয়েছে তা কৃষিবিদদেরই অবদান বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘কৃষিতে গবেষণার ফলে এখন অনেক দেশি-বিদেশি ফল, তরি-তরকারি উৎপাদন হচ্ছে। এখন ১২ মাস সব সবজি পাওয়া যাচ্ছে। অনেক বিদেশি ফল এখন দেশেই পাওয়া যাচ্ছে, এটা কৃষিবিদদেরই অবদান। এ ক্ষেত্রে যত দূর সম্ভব আমরা সহযোগিতা দিচ্ছি। সার-বিদ্যুৎ সব ক্ষেত্রে ভর্তুকি দিচ্ছি।’