কক্সবাজারের উখিয়ার কুতুপালং শরণার্থী শিবিরের বাসিন্দা রোহিঙ্গাদের শীর্ষ নেতা মুহিবুল্লাহকে হত্যার পর নিরাপত্তা চেয়ে আসছিল তার পরিবার। এবার মুহিবুল্লাহর পরিবার, তার ছোট ভাই হাবিব উল্লাহসহ তার সংগঠনের ছয় পরিবারকে সরিয়ে নেয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার ছয় পরিবারকে একটি সেন্টারে সরিয়ে নেয়া হলেও শুক্রবার রাতে সরিয়ে নেয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ১৪ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) অধিনায়ক পুলিশ সুপার নাঈমুল হক।
এদিকে মুহিবুল্লাহর ছোট ভাই হাবিব উল্লাহর অভিযোগ, ভাই হত্যার ঘটনায় মামলার পর থেকে তার স্ত্রী নাসিমা খাতুনসহ অন্য আত্মীয়দের অপরিচিত নম্বর থেকে মোবাইলে টেক্সট ও ভয়েস মেসেজ পাঠিয়ে হুমকি দেয়া হচ্ছে।
অন্যদিকে পুলিশ বলছে, হুমকির ঘটনার কারণ ও কারা এ ধরনের কাণ্ড ঘটাচ্ছে তা নিয়েও কাজ করছে মামলাটির তদন্ত দল। তবে তাদের অনিরাপত্তার জন্য সরানো হয়নি বলে দাবি পুলিশের। ঘটনার পর থেকে তাদের সেখানে পূর্ণ নিরাপত্তা দেয়া হচ্ছে বলে জানায় পুলিশ।
এপিবিএনের অধিনায়ক এসপি নাঈমুল হক বলেন, ‘যেহেতু ক্রাইম সিনের কাছাকাছি এলাকায় মানুষ চলাচল নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তাই পরিবারসহ কয়েক জনকে ক্যাম্পের অভ্যন্তরে একটি সেন্টারে আপাতত সরিয়ে রাখা হয়েছে।’
তিনি আরও জানান, মূলত মুহিবুল্লাহ হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তার আবেদনের কারণে ঘটনাস্থল থেকে তাদের একটি শেল্টারে সরিয়ে রাখা হয়েছে।
উখিয়ার লম্বাশিয়া ক্যাম্প ইস্ট-১-এর আরাকান রোহিঙ্গা সোসাইটি ফর পিস অ্যান্ড হিউম্যান রাইটস (এআরএসপিএইচ) অফিসের লাগোয়া হওয়ায় আশপাশের ছয় পরিবারকে সরিয়ে নেয়া হয়েছে বলে জানান ওই কর্মকর্তা।
২৯ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে ৮টার দিকে কুতুপালং লম্বাশিয়ায় অবস্থিত নিজ অফিসে অজ্ঞাতপরিচয় অস্ত্রধারীদের গুলিতে নিহত হন মুহিবুল্লাহ।
এআরএসপিএইচের উখিয়ার লম্বাশিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পের নেত্রী জামালিদা বেগম জানান, বুধবার থেকে মুহিবুল্লাহর স্ত্রী-সন্তানসহ বেশকিছু পরিবারকে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। নিরাপত্তার কারণে তাদের সরিয়ে নেয়া হয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে মুহিবুল্লাহর ভাগনে ও আরাকান রোহিঙ্গা সোসাইটি ফর পিস অ্যান্ড হিউম্যান রাইটস (এআরএসপিএইচ) মুখপাত্র রশিদ উল্লাহ বলেন, বুধবার মুহিবুল্লাহর পরিবারসহ তার স্বজনদের সেখান থেকে অন্য জায়গায় নিয়ে গেছে। পরের দিন তাদের কয়েক পরিবারকে সেখানে নিয়ে যাওয়া হয়।