লক্ষ্মীপুর জেলা বিএনপির কমিটি বিলুপ্তের ২৭ মাস পর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির অনুমোদন দিয়েছে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়।
কেন্দ্রীয় বিএনপির প্রচার সম্পাদক ও লক্ষ্মীপুর-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানীকে আহ্বায়ক করে ৩৩ সদস্য আহ্বায়ক কমিটি অনুমোদন দিয়েছে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
সাবেক জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট হাসিবুর রহমানকে যুগ্ম-আহবায়ক ও কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ-সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক ও সাবেক জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাহাবুদ্দিন সাবুকে সদস্য সচিব করা হয়েছে।
কেন্দ্রীয় বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
শুক্রবার সন্ধ্যায় কমিটি অনুমোদনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা বিএনপির নবগঠিত আহ্বায়ক কমিটির সদস্যরা।
দলীয় নেতাকর্মী সূত্রে জানা যায়, জেলা কমিটি নিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য ও সাবেক জেলা বিএনপির সভাপতি আবুল খায়ের ভূইঁয়া ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাহাবুদ্দিন সাবু সমর্থকদের মধ্যে অন্তকোন্দল শুরু হয়।
এতে করে দ্বিধাবিভক্ত হয়ে পড়েছে নেতাকর্মীরা। এর ফলে ২০১৯ সালের ৯ এপ্রিল কেন্দ্রীয় বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এক বিজ্ঞপ্তিতে লক্ষ্মীপুর জেলা বিএনপির কমিটি বিলুপ্ত করেন।
ওই বছরের ৩০ এপ্রিলের মধ্যে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি করার নির্দেশনা থাকলেও তা আর হয়ে উঠেনি।
এর আগে ২০১০ সালের ২৮ অক্টোবর লক্ষ্মীপুর শহরের নছির আহমদ ভইঁয়া মিলনায়তনে কেন্দ্রীয় নেতাদের উপস্থিতিতে জেলা বিএনপির সম্মেলন হয়।
দুই বছরের জন্য আবুল খায়ের ভূইয়াকে সভাপতি ও সাহাবুদ্দিন সাবু এবং হাসিবুর রহমানকে সাংগঠনিক সম্পাদক করে ১৫১ সদস্য একটি পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা দেয়া হয়। দলের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী দুই বছর পর সম্মেলন হওয়ার কথা রয়েছে। কিন্তু তা আর হয়নি।
দলের যুগ্ম মহাসচিব ২০১৫ সালের ৯ আগস্ট চিঠি দিয়ে ওই বছরের ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে সম্মেলনের মাধ্যমে কমিটি গঠন করার নির্দেশনা দেন। তখন সম্মেলন ও কমিটি নিয়ে নেতাকর্মীরা দ্বিধাবিভক্ত হয়ে পড়েন। কিন্তু তারপরও সম্মেলন করতে পারেনি বিএনপি।
এছাড়া বহুবার সম্মেলনের জন্য বলা হলেও তার আর হয়নি। সবশেষ ২০১৯ সালের ৯ এপ্রিল এ জেলা বিএনপির কমিটি বিলুপ্ত করার পর দীর্ঘ ২৭ মাস পর ২০২১ সালের ১৫ অক্টোবর নতুন আহবায়ক কমিটি অনুমোদন দিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।