আওয়ামী লীগের যেসব নেতা বিতর্কিত প্রার্থীদের পরিচয় গোপন করে মনোনয়ন বোর্ডে ইউপি প্রার্থীদের তালিকা পাঠিয়েছেন তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চান দলটির সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক।
শুক্রবার সন্ধ্যায় ধানমন্ডির নিজ রাজনৈতিক কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এ কথা কথা বলেন তিনি। এ সময় ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সাম্প্রদায়িক সহিংসতায় অভিযুক্ত দলের বিতর্কীত প্রার্থীদের প্রসঙ্গও টেনে আনেন নানক।
সম্প্রতি আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাওয়া ইউনিয়ন পরিষদের দুই চেয়ারম্যান প্রার্থী ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে মন্দিরে হামলার ঘটনায় চার্জশিটভুক্ত আসামি ছিলেন বলে বেরিয়ে আসে। পরে তাদের মনোনয়ন বাতিল করা হয়।
এ প্রসঙ্গে নানক বলেন, ‘এটি অবশ্যই শঙ্কার বিষয়। তবে আমার কথা হলো- আমাদের মনোনয়নের ব্যাপারে কতগুলি স্তর পার করে চূড়ান্ত তালিকা স্থানীয় সরকার মনোনয়ন বোর্ডের কাছে আছে। কাজেই এদেরকে যারা চিহ্নিত করে নাই অথবা এদের পরিচয় যারা গোপন রেখেছে তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক কঠোর ব্যবস্থা নেয়া উচিত।’
তিনি বলেন, ‘গণমাধ্যমে আসা বিভিন্ন সংবাদে এটাই প্রমাণ করে এরা ঢুকে পড়েছে। শুধু ঢুকেই পড়ে নাই, এরা বিভিন্ন নেতাদের কাঁধে সহায় হয়েছে। কাজেই, যে নেতার কাঁধে সহায় হয়েছে সে নেতাকে ঘাড় ধরে দল থেকে বের করে দেয়া উচিত।’
এ ছাড়া বিএনপি-জামায়াত জোট দেশের স্থিতিশীলতা নষ্ট করার জন্য দুর্গাপূজাকে লক্ষ্যবস্তু করেছে বলেও দাবি করেন নানক।
কুমিল্লার ঘটনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়ে এই কোরআন শরীফ রেখে কুমিল্লা থেকে শুরু করে বাংলাদেশের কয়েকটি এলাকায় তারা হিন্দু সমাজের ওপর হামলা ও মূর্তি ভাঙচুর করেছে। এটি একটি সুগভীর ধর্মীয় উগ্রবাদী, মৌলবাদীদের ষড়যন্ত্র।’
তিনি বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে, অন্যায় করে কেউ পার পাবে না।’