বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। এ দেশে কোনো ধর্মীয় সম্প্রদায়ের ওপর কোনো হামলা বরদাশত করা হবে না বলে সতর্ক করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার সরকার যে কোনো মূল্যে অসাম্প্রদায়িক নীতির সুরক্ষা প্রদান করতে বদ্ধপরিকর। আমরা কোনো অবস্থাতেই মহান মুক্তিযুদ্ধের মূলনীতি ভূ-লুণ্ঠিত হতে দেব না।’
শুক্রবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে দেশের মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী প্রগতিশীল সকল মানুষকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিষ্টার বিপ্লব বড়ুয়া স্বাক্ষরিত ওই বিবৃতিতে দেশের বিভিন্ন স্থানে হিন্দু সম্প্রদায়ের মন্দির, বাড়িঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা, ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান ওবায়দুল কাদের।
বিবৃতিতে তিনি বলেন ‘ইতোমধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে দেশের এসব জায়গায় শান্তি-শৃঙ্খলা ও সম্প্রীতি ফিরিয়ে আনতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে কঠোর নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। এসব সাম্প্রদায়িক হামলার সঙ্গে যারা জড়িত তাদের আইনের আওতায় এনে বিচারের মুখোমুখি করা হবে। এই ষড়যন্ত্রের নেপথ্যের কুশীলবদেরও অবিলম্বে গ্রেপ্তার করা হবে।’
যারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব সৃষ্টি করছে তাদেরকে চিহ্নিত করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে সোপর্দ করারও আহ্বান জানান কাদের।
বিবৃতিতে তিনি আরও বলেন, ‘গভীর উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করছি- বাংলাদেশের হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা যখন তাদের সর্বোচ্চ ধর্মীয় উৎসব দূর্গাপূজা উদযাপন করছে তখন এ দেশের চিহ্নিত সাম্প্রদায়িক এবং জঙ্গি গোষ্ঠী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব সৃষ্টি করে দেশের বিভিন্ন জায়গায় পূজা মণ্ডপ, মন্দির এবং হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়িঘর, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা চালিয়েছে। আমরা দৃঢ়তার সঙ্গে বলতে চাই, স্বাধীন বাংলাদেশে অভ্যুদয় ঘটেছিল জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে অসাম্প্রদায়িক নীতির ভিত্তিতে। এ ধরনের হামলা মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও বাঙালি জাতির হাজার বছরের আবহমান ঐতিহ্য, সংস্কৃতি ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির মূলে কুঠারাঘাতের শামিল।’
এ ছাড়া দেশের সকল ধর্মান্ধ, সাম্প্রদায়িক ও জঙ্গিবাদী শক্তির পৃষ্ঠপোষক বিএনপি-জামাত দাবি করে এই জোটকে প্রতিরোধেরও আহ্বান জানান ওবায়দুল কাদের।