চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলার জোরারগঞ্জ এলাকায় তিন খুনের ঘটনায় মামলা হয়েছে।
বাবা-মা ও ভাইকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগে বড় ভাই সাদ্দাম হোসেনকে একমাত্র আসামি করে বৃহস্পতিবার রাতে মামলাটি করেন বোন জুলেখা বেগম। সাদ্দামকে শুক্রবার বিকেলে জেলা আদালতে পাঠানোর কথা জানিয়েছে পুলিশ।
এ ছাড়া ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার প্রমাণ না পাওয়ায় সাদ্দামের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী আইনুন্নাহারকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।
জোরারগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূর হোসেন মামুন জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সাদ্দাম হোসেন ঘটনার সঙ্গে জড়িত বলে স্বীকার করেছেন। তার দেয়া তথ্যে ঘরের পাশের ডোবা থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছুরিও উদ্ধার করা হয়েছে। জমি নিয়ে বিরোধের জেরে মা-বাবাকে হত্যা করতে কর্মস্থল চট্টগ্রাম থেকে ছুরিটি কেনেন তিনি।
সাদ্দামের বরাত দিয়ে ওসি আরও জানান, সাদ্দাম প্রথমে তার বাবাকে ও পরে মাকে কুপিয়ে হত্যা করেন। মেজো ভাই আহমদ হোসেন ঘটনাটি দেখে ফেলায় তাকেও হত্যা করেন।
মিরসরাইয়ের জোরারগঞ্জের সোনাপাহাড় এলাকার নিজ বাড়ি থেকে বৃহস্পতিবার ব্যবসায়ী মোস্তফা সওদাগর, স্ত্রী জোসনারা বেগম ও ছেলে হোসেন আহম্মেদের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
সাদ্দাম তখন পুলিশকে জানিয়েছিলেন, ভোরে তিনজন লোক বাড়িতে ঢোকে। এর মধ্যে দুজন লোক তাদের দুজনকে জিম্মি করে ঘুমিয়ে থাকা বাবা-মা-ভাইকে কুপিয়ে পালিয়ে যায়।
তবে প্রতিবেশীরা জানিয়েছিলেন, তারা ভোর ৫টার দিকে চিৎকার শুনে মোস্তফা সওদাগরের ঘরে যাওয়ার চেষ্টা করেন, কিন্তু বাড়ির দরজা ভেতর থেকে বন্ধ ছিল।
পরে সাদ্দামের কথা সন্দেহজনক হওয়ায় তাকে থানায় নেয়া হয়। আর আইনুন্নাহার অন্তঃসত্ত্বা হওয়ায় তাকে বাড়িতেই পুলিশের হেফাজতে রাখা হয়।