বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

মাগুরায় ‘রাজনৈতিক প্রভাব’ নিয়ে সংঘর্ষ, নিহত ৪

  •    
  • ১৫ অক্টোবর, ২০২১ ১৮:০৩

জগদল ইউপি চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘দুই পক্ষই আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। আধিপত্য বিস্তার নিয়ে অনেক দিন ধরেই তাদের মধ্যে বিরোধ চলছিল। ইউপি নির্বাচনে প্রার্থী দেয়া নিয়ে বিরোধ চূড়ান্ত রূপ নিয়েছে।’

মাগুরা সদরে ‘রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তারকে’ কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে চারজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি আছেন ১০ জন।

জগদল ইউনিয়নের দক্ষিণ পাড়ায় শুক্রবার বেলা ৩টার দিকে সংঘর্ষ শুরু হয়।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কামরুল ইসলাম নিউজবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

তিনি জানান, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে এখন পর্যন্ত চারজনের মরদেহ মাগুরা সদর হাসপাতালে আনা হয়েছে। হাসপাতাল এলাকায় বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি যেন সৃষ্টি না হয় সে জন্য অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। কোনো রোগীর স্বজনকে এখন হাসপাতালে ঢুকতে দেয়া হচ্ছে না।

নিহতরা হলেন দুই ভাই সবুর মোল্লা ও কবির মোল্লা, তাদের চাচাত ভাই রহমান মোল্লা ও মো. ইমরান। ইমরান বাদে বাকিদের বাড়ি জগদলের দক্ষিণ পাড়ায়। ইমরানের ঠিকানা এখনও জানা যায়নি।

স্থানীয় লোকজন জানান, ১১ নভেম্বর জগদল ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তারের জেরে এ ঘটনা ঘটেছে। এই ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার নজরুল ইসলাম। এই পদে সৈয়দ হাসান নামে একজন প্রার্থিতা ঘোষণা করেছেন। হাসানকে সমর্থন দিয়েছেন সবুর। এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে বিরোধ চলছিল।

শুক্রবার বেলা ৩টার দিকে সবুর মোল্লার লোকজনকে নজরুলের সমর্থকরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ধাওয়া করে। তারা কয়েকজনকে কুপিয়ে জখম করে।

এরপর দুই পক্ষের লোকদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। এতে অন্তত অর্ধশতাধিক আহত হন।

মাগুরা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক রফিকুল আহসান জানান, হাসপাতালে প্রথমে তিনটি মরদেহ আনা হয়। আধ ঘণ্টা পর আরও একটি মরদেহ নিয়ে আসে। তারা সবাই সংঘর্ষে মারা গেছে। আহতরা চিকিৎসাধীন।

জগদল ইউপি চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘দুই পক্ষই আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। আধিপত্য বিস্তার নিয়ে অনেক দিন ধরেই তাদের মধ্যে বিরোধ চলছিল। ইউপি নির্বাচনে প্রার্থী দেয়া নিয়ে বিরোধ চূড়ান্ত রূপ নিয়েছে।’

নিহত সবুরের স্ত্রী মেরিনা বেগম বলেন, ‘প্রতিপক্ষ নজরুল ইসলাম আর তার সন্ত্রাসীরা প্রকাশ্যে আমার স্বামীকে কুপিয়ে, পিটিয়ে হত্যা করেছে।’

নজরুল ইসলামকে কল করলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মঞ্জুরুল ইসলাম নিউজবাংলাকে জানান, আপাতত পরিস্থিতি শান্ত আছে। এটি দলীয় সংঘর্ষ কি না তা এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। এ ঘটনায় কয়েকজনকে সন্দেহভাজন হিসেবে আটক করা হয়েছে। এখনই তাদের বিষয়ে কোনো তথ্য দেয়া যাচ্ছে না।

এ বিভাগের আরো খবর