বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

প্রতিমা বিসর্জন না দিয়ে চট্টগ্রামে হরতালের ডাক

  •    
  • ১৫ অক্টোবর, ২০২১ ১৭:২১

চট্টগ্রাম মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি আশীষ ভট্টাচার্য বলেন, ‘মণ্ডপে এসে হামলা করছে, সেখানে সড়কে যে হামলা হবে না তার নিশ্চয়তা কোথায়? সরকার আগে নিরাপত্তার কথা বলুক, তারপর আমরা প্রতিমা বিসর্জনে যাব। তার আগ পর্যন্ত চট্টগ্রাম মহানগরের কোনো মণ্ডপের প্রতিমা বিসর্জন দেয়া হবে না।’

পূজামণ্ডপে হামলার প্রতিবাদে বন্দরনগরী চট্টগ্রামে আধা বেলা হরতালের ডাক দিয়েছেন হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের নেতা রানা দাশগুপ্ত। আর হামলার প্রতিবাদে প্রতিমা বিসর্জন না দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে চট্টগ্রাম মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদ।

শুক্রবার দুপুরে জুমার নামাজের পর জেএম সেন হল পূজামণ্ডপে হামলার পর প্রতিবাদ হিসেবে এ ঘোষণা দেয়া হয়।

চট্টগ্রাম মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি আশীষ ভট্টাচার্য সাংবাদিকদের বলেন, ‘প্রতিবছর বেলা ১১টা থেকে বিসর্জনের কাজ শুরু হয়। এবার সরকারি নির্দেশনা ছিল নামাজের জন্য বেলা আড়াইটার পর থেকে পূজামণ্ডপ থেকে বিসর্জনের জন্য বের হওয়ার।

‘সে জন্য আমরা মণ্ডপে অপেক্ষা করে ধর্মীয় আনুষ্ঠানিকতা পালন করছিলাম। ঠিক এ সময় আমাদের এখানে হামলা হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘মণ্ডপে এসে হামলা করছে, সেখানে সড়কে যে হামলা হবে না তার নিশ্চয়তা কোথায়? সরকার আগে নিরাপত্তার কথা বলুক, তারপর আমরা প্রতিমা বিসর্জনে যাব।

‘তার আগ পর্যন্ত চট্টগ্রাম মহানগরের কোনো মণ্ডপের প্রতিমা বিসর্জন দেয়া হবে না। রাষ্ট্রীয়ভাবে নিরাপত্তার ঘোষণা এলে তখন বিবেচনা করা হবে।’

আর বেলা ৩টার দিকে ঘটনাস্থলে গিয়ে বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রানা দাশগুপ্ত ঘোষণা দেন, ‘শনিবার বেলা ১২টা পর্যন্ত চট্টগ্রামে হরতাল চলবে। কেউ এ কর্মসূচি প্রতিহত করতে চাইলে বুকের রক্তের বিনিময়ে হলেও প্রতিরোধ করা হবে।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঘটনাস্থলে থাকা চট্টগ্রাম নগর পুলিশের উপকমিশনার (দক্ষিণ) বিজয় বসাক বলেন, ‘আমরা ঘটনা পর্যবেক্ষণ করছি।’

তবে কী ব্যবস্থা নেয়া হবে, জানতে চাইলে তিনি মন্তব্য করতে রাজি হননি।

এর আগে জুমার নামাজ শেষে কুমিল্লার ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে আন্দরকিল্লা এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল করে একটি দল। সেখান থেকে তারা মিছিল নিয়ে জেএম সেন হলের দিকে এগিয়ে যায়। পরে তারা জেএম সেন হল পূজামণ্ডপে হামলা করে বলে দাবি চট্টগ্রাম মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদের।

এ ঘটনায় পর থেকে ওই এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

এ বিভাগের আরো খবর