লক্ষ্মীপুরের রামগতি ও রামগঞ্জে মন্দিরে হামলার ঘটনায় ৩০০ জনকে আসামি করে দুটি মামলা হয়েছে।
রামগতির চরসীতা শ্রী শ্রী ঠাকুরাঙ্গন মন্দিরে হামলায় ঘটনায় পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) ইছমাইল হোসেন ও রামগঞ্জের ইছাপুরের সুন্দরা এলাকার মণ্ডপে হামলার ঘটনায় উত্তম গোষাল বৃহস্পতিবার রাত ১২টার দিকে মামলা করেন।
রামগতি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোলাইমান উদ্দিন জানান, এসআইয়ের করা মামলায় অজ্ঞাতপরিচয় ২৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
- আরও পড়ুন: কুমিল্লার ঘটনায় চার মামলা, গ্রেপ্তার ৪১
রামগঞ্জের ঘটনায় অজ্ঞাতপরিচয় ৪০ থেকে ৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেন রামগঞ্জ থানার ওসি আনোয়ার হোসেন।
পুলিশ জানায়, কুমিল্লা নগরীর একটি পূজামণ্ডপে পবিত্র কোরআন শরিফ পাওয়ার অভিযোগের জেরে বুধবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে রামগতিতে মন্দিরে হামলা চালানো হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ৪৬টি গুলি ও রাবার বুলেট ছোড়ে।
হামলাকারীদের ইট-পাটকেলের আঘাতে এসআইসহ আহত হন কয়েকজন পুলিশ সদস্য। একই সময় রামগঞ্জেও হামলা হয়।
দুই মামলায় এখন পর্যন্ত কেউ গ্রেপ্তার হয়নি। জড়িতদের শনাক্তের চেষ্টা চলছে।
জেলা প্রশাসক আনোয়ার হোছাইন আকন্দ বলেন, ‘কেউ গুজবে কান দেবেন না। যারা এসব অপকর্মের সঙ্গে জড়িত ও সমাজে অশান্তি সৃষ্টি করতে চায় তাদের কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে।’
হামলার পর ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন লক্ষ্মীপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ার খাঁন, জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার ড. এইচএম কামরুজ্জামান, দুই উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা, রামগতি পৌরসভার মেয়র এম মেজবাহ উদ্দিন মেজু।