সাপ্তাহিক ছুটি, পূজা ও শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটে ফেরি চলাচল বন্ধ থাকায় যাত্রী ও যানবাহনের চাপ বেড়েছে মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া ফেরিঘাটে।
প্রচণ্ড গরমে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে ফেরি পারের অপেক্ষায় থাকা যাত্রী ও চালকদের। এ ছাড়া ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক ও আশপাশের সড়কগুলোতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষার পর দেখা মিলছে ফেরির।
শুক্রবার দুপুর ১টার দিকে মানিকগঞ্জের শিবালয়ের পাটুরিয়া ফেরিঘাটগুলোতে ছিল যানবাহনের চাপ।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) আরিচা কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, ২০টি ফেরির ১৯টি দিয়ে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে যাত্রী ও যানবাহন পারাপার করা হচ্ছে। যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে একটি ফেরি পাটুরিয়ার ভাসমান কারখানায় মেরামতে রয়েছে।
নদীতে নাব্যতা সংকটের কারণে পাটুরিয়া ৪ নম্বর ফেরিঘাটটি বন্ধ রয়েছে। ঘাট এলাকায় দেড় শতাধিক ছোট গাড়ি, দুই শতাধিক যাত্রীবাহী বাস ও সাত শতাধিক পণ্যবাহী ট্রাক পারের অপেক্ষায় আছে।
ফরিদপুরের কাজী আরিফ হোসেন বলেন, ‘সকালে পাটুরিয়া ঘাটে এসে যানজটে আটকা পড়েছিলাম। দীর্ঘ সময় অপেক্ষার পর ফেরির দেখা পাই। খুব বিরক্ত লাগে পাটুরিয়া ঘাটে এসে।’
রাজবাড়ীর আব্দুল হালিম শেখ বলেন, ‘এই গরমের মধ্যে ঘরের ভেতরে থাকাই কষ্টের। তার মধ্যে গাড়িতে বসে থাকা আরও কষ্টের। এই গরমে গাড়িতে বসে থাকতে থাকতে মরার অবস্থা হয়ে গেছে।’
বিআইডব্লিউটিসি আরিচা কার্যালয়ের সহকারী ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) মহিউদ্দীন রাসেল বলেন, ‘একে তো শুক্রবার তারপর পূজা। এ ছাড়া শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটে ফেরি বন্ধ রয়েছে। এসব কারণে পাটুরিয়া ঘাটে যানবাহনের যাত্রী ও যানবাহনের চাপ বেড়েছে। যাত্রীবাহী বাস ও ব্যক্তিগত পরিবহনের চেয়ে ট্রাকের সংখ্যা বেশি।’
শিবালয় সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ তানিয়া সুলতানা বলেন, ‘সকালে একটু ঝামেলা থাকলেও এখন ফেরি চলাচল স্বাভাবিক আছে। আস্তে আস্তে ঘাটের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে শুরু করছে। যাত্রীবাহী পরিবহন ও জরুরি কাজে নিয়োজিত যানবাহনের চাপ কমলে সিরিয়াল অনুযায়ী ট্রাক পারাপার করা হবে।’