বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

পূজা ও সাপ্তাহিক ছুটিতে সমুদ্রে পর্যটকদের ঢল

  •    
  • ১৫ অক্টোবর, ২০২১ ১৪:১৩

জেলা হোটেল-মোটেল গেস্টহাউজ মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম সিকদারআবুল কাশেম সিকদার বলেন, ‘গত দুই সপ্তাহে ছুটির দিনে কক্সবাজারের হোটেলগুলোর প্রায় ৮০% ভাগ রুম ভাড়া হয়েছে। আর গত দুই দিনে শতভাগ কক্ষ ভাড়া হয়েছে।’

মৃদুমন্দ ঢেউ আছড়ে পড়ছে সৈকতে। তাতে পা ভিজিয়ে হাঁটছেন নবদম্পতি রাজিয়া ও কবির। সিলেট থেকে এসেছেন মধুচন্দ্রিমায়।

কক্সবাজার শহরের লাবণী পয়েন্টে শুক্রবার সকালে গিয়ে কথা হয় তাদের সঙ্গে।

কবির জানান, এটিই প্রথম সমুদ্র দেখা তাদের। সাপ্তাহিক ছুটি কাটাতে কক্সবাজার এসেছেন বৃহস্পতিবার রাতে। এসেই সৈকতে বসে জ্যোৎস্না দেখার সুযোগ পেয়ে যান।

কবির বলেন, ‘প্রথম এসেছি সমুদ্র সৈকতে। আবার জ্যোৎস্না রাতও পেয়েছি। জীবনে এমন সময় কখনও ভুলব না।’

সাপ্তাহিক ছুটি ও পূজার ছুটি এবার একই দিনে পড়েছে। তাই কেউ পূজা উপলক্ষে, কেউ সপ্তাহ শেষে অবসর কাটাতে জড়ো হয়েছেন সৈকতে। শুক্রবার সকাল থেকে তাই পর্যটকের ঢল সৈকতের বিভিন্ন পয়েন্টে।

কলাতলী থেকে লাবণী পয়েন্ট পর্যন্ত প্রায় ২ কিমি সমুদ্র সৈকত জুড়ে শুক্রবার সকাল হতেই হাজার হাজার পর্যটক দেখা গেছে।

শহরের রাস্তায়ও ভিড়। রীতিমতো দেখা দিয়েছে যানবাহন সংকট। গণপরিবহণগুলো পর্যটকদের ‘রিজার্ভ’ ভাড়া ধরতে গিয়ে স্থানীয়দের এড়িয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ শোনা গেছে।

কক্সবাজারের হোটেল-মোটেল গেস্টহাউজ মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম সিকদার বলেন, ‘লকডাউনে দীর্ঘ দিন ঘরবন্দী মানুষগুলো এখন মুক্ত হাওয়ার সন্ধানে সাগর দেখতে আসছে। কক্ষ বুকিংয়ের প্রচুর কল পাই আমরা। তবে একটি কক্ষে গাদাগাদি করে অতিরিক্ত পর্যটক থাকার সুযোগ নেই। স্বাস্থ্যবিধি মেনে কাপল বেড ও টুইন বেডে সর্বোচ্চ ২ জন অবস্থান করতে পারছেন।’

তিনি জানান, কক্সবাজার শহর ও শহরতলীর চার শতাধিক হোটেল-মোটেল ও গেস্ট হাউসে এক দিনে সর্বোচ্চ ৮২ হাজার পর্যটক রাত যাপন করতে পারছে এখন। করোনার আগে এই সক্ষমতা ছিল দ্বিগুণ।

আবুল কাশেম বলেন, ‘গত দুই সপ্তাহে ছুটির দিনে কক্সবাজারের হোটেলগুলোর প্রায় ৮০% ভাগ রুম ভাড়া হয়েছে। আর গত দুই দিনে শতভাগ কক্ষ ভাড়া হয়েছে।’

কক্সবাজার ট্যুর অপারেটর অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিষ্ঠাকালীন চেয়ারম্যান এম এ হাসিব বাদল বলেন, ‘কক্সবাজারে এখন লাখো পর্যটক অবস্থান করছেন। শীত যতই ঘনিয়ে আসবে, কক্সবাজারে পর্যটকও তত বাড়বে।’

টুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মহিউদ্দীন আহমদ জানান, নিরাপত্তা নিশ্চিতে সবসময় টুরিস্ট পুলিশ ও জেলা পুলিশের সদস্যরা কাজ করে যাচ্ছেন। পাশাপাশি পুলিশের একাধিক দল সাদা পোশাকে সৈকতসহ বিভিন্ন স্পটে অবস্থান করেছে।

কক্সবাজার পুলিশ সুপার মো. হাসানুজ্জামান জানান, সৈকতে প্রতিমা বিসর্জন নির্বিঘ্ন করতে শহরের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবেলায় প্রস্তুত তারা।

এ বিভাগের আরো খবর