১২ থেকে ১৭ বছর বয়সী স্কুল শিক্ষার্থীদের করোনাভাইরাস প্রতিরোধী টিকা দিতে রাজধানীর স্কুল-কলেজগুলোর কাছে তথ্য চেয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)।
রাজধানীর স্কুল-কলেজগুলোকে ১৯ অক্টোবরের মধ্যে শিক্ষার্থীদের তথ্য ইমেইলে পাঠাতে হবে।
বৃহস্পতিবার রাতে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. সৈয়দ গোলাম ফারুকের সই করা এক অফিস আদেশে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের আওতাধীন ঢাকা মহানগরীর সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নরত ১২-১৭ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদের কোভিড-১৯ টিকা দেয়ার জন্য সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। শিক্ষার্থীদের তথ্য নির্ধারিত ছক অনুসারে এক্সেল শিটে আগামী ১৯ অক্টোবরের মধ্যে ইমেইলে (student.vaccination2021@gmail.com) পাঠাতে অনুরোধ করা হলো।
আদেশে আরও বলা হয়েছে, শিক্ষার্থীদের তথ্যগুলো অবশ্যই ইংরেজিতে এবং সংযুক্ত এক্সেল ফাইলে পূরণ করে পাঠাতে হবে।
শিক্ষার্থীদের ১৭ ডিজিটের জন্মনিবন্ধন নম্বর, নাম, লৈঙ্গিক পরিচয়, প্রতিষ্ঠানের ইআইআইএন, প্রতিষ্ঠানের নাম, জন্মতারিখ এবং অভিভাবকের ফোন নম্বর দিয়ে ইংরেজিতে এক্সেল শিট পূরণ করে ইমেইলে তথ্য পাঠাতে হবে।
বৃহস্পতিবার দুপুর ২টার দিকে মানিকগঞ্জ কর্নেল মালেক মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদের পরীক্ষামূলকভাবে টিকা দিয়ে কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়।
অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, ‘আমাদের দেশে এক কোটির বেশি ছেলেমেয়ে আছে, যাদের আমরা টিকা দেব। প্রথম পর্যায়ে ৩০ লাখ শিক্ষার্থীকে টিকা দেব এবং পর্যায়ক্রমে বাকিদের টিকা দেয়া হবে।’
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ফাইজারের টিকা ভালো ও নিরাপদ। এই টিকা আমেরিকা, ইউরোপসহ অন্য দেশে দেয়া হচ্ছে। এ কারণে এই টিকা আমরা ছাত্রছাত্রীদের দিচ্ছি। আমরা চাই আমাদের শিশুরা নিরাপদে থাকুক।
‘আজকে মানিকগঞ্জ কর্নেল মালেক মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ১০০ জন ছাত্রছাত্রীকে টিকা দেয়া হচ্ছে। এরপরে সারা দেশে ২১টি জায়গায় এই টিকা দেয়া হবে এবং ঢাকায় একটি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এ টিকাদান কর্মসূচি শুরু হয়ে যাবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শর্ত ছিল দেশের প্রত্যেক মানুষকে টিকা দেয়া এবং সেই লক্ষ্যে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।’
করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের পর ২০২০ সালের ১৭ মার্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেয়া হয়। এর প্রায় দেড় বছর পর গত ১২ সেপ্টেম্বর স্কুল-কলেজে ক্লাস শুরু হয়। তবে প্রতিদিন সব শ্রেণিতে ক্লাস হচ্ছে না।
শুধু চলতি বছরের ও আগামী বছরের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার্থী এবং পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের প্রতিদিন ক্লাস নেয়া হচ্ছে। আর অন্যান্য শ্রেণির মধ্যে তৃতীয়, চতুর্থ, অষ্টম, নবম শ্রেণিতে দুই দিন এবং অন্যান্য শ্রেণির শিক্ষার্থীদের এক দিন ক্লাসে আসতে বলা হয়েছে।