হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় অনুষ্ঠান শারদীয় দুর্গাপূজা উৎসবের মহানবমীর দিন সন্ধ্যায় রাজধানীর ঢাকেশ্বরীসহ তিনটি পূজামণ্ডপে গিয়ে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে তিনি এ শুভেচ্ছা জানান।
বৃহস্পতিবার বিকেলে প্রথমে কেরানীগঞ্জের কোন্ডা ইউনিয়নে মির্জাপুর গ্রামে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের বাড়ির পূজামণ্ডপে যান বিএনপি মহাসচিব। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু।
পরে ফখরুল মণ্ডপ প্রাঙ্গণে হিন্দু সম্প্রদায়ের সদস্যদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন। একই সঙ্গে তাদের দলের পক্ষ থেকে শারদীয় দুর্গাপূজার শুভেচ্ছা জানান।
সন্ধ্যায় ঢাকেশ্বরী মন্দিরে দুর্গাপূজামণ্ডপ পরিদর্শন করেন বিএনপি মহাসচিব।
হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রতি শুভেচ্ছা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ একটি অসাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। আমরা হাজার বছর ধরে অত্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবে বাস করি। আমরা আজকে এখানে আপনাদের আমাদের দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা জানাতে এসেছি।
ফখরুল বলেন, ‘আমরা সব সময় আপনাদের সঙ্গে আছি এবং থাকব।’
কুমিল্লাসহ বিভিন্ন স্থানের পূজামণ্ডপে হামলার ঘটনায় নিন্দা জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি, বাংলাদেশে এই সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি এটা হাজার বছর ধরে চলে আসছে। আমরা হিন্দু-বৌদ্ধ-মুসলাম-খ্রিষ্টানসহ সব ধর্মাবলম্বী একসঙ্গে বসবাস করছি। আমরা এ দেশে কখনও সাম্প্রদায়িকতাকে প্রশ্রয় দিইনি। এটা আমরা বড় গলায় বলতে পারি।
‘কয়েকটি ঘটনা ঘটেছে। এসব যারা ঘটিয়েছে তারা চায়, এ দেশে অশান্তি সৃষ্টি করতে। এ দেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করতে দুর্বৃত্তরা এটা ঘটিয়েছে। আমরা এসব ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি এবং অবিলম্বে প্রকৃত অপরাধী যারা তাদের গ্রেপ্তার করে আইনি ব্যবস্থায় নেয়ার দাবি জানাচ্ছি।’
এ সময় বিএনপির মহানগর দক্ষিণের সভাপতি আবদুস সালাম, হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান কল্যাণ ফ্রন্টের নেতা গৌতম চক্রবর্তী, গণফোরামের অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরীসহ দলের কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
রাতে বিএনপি মহাসচিব বনানী পূজামণ্ডপও পরিদর্শন করেন।