কুমিল্লায় অপ্রীতিকর ঘটনায় করা চার মামলায় ৩৯ আসামিকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
আদালতের মাধ্যমে আসামিদের কারাগারে পাঠানোর তথ্য বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টায় নিশ্চিত করেন কুমিল্লা কোতয়ালী মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) কমল কৃষ্ণ ধর।
কোতয়ালী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনওয়ারুল আজিম বলেন, ‘পবিত্র কোরআন অবমাননা ও প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে চারটি মামলা করেছে। এরমধ্যে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত ও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দুটি মামলা হয়েছে। অন্য দুটি মামলা বিশেষ ক্ষমতা আইনে।’
পুলিশ জানায়, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে গ্রেপ্তার করা হয়েছে ফয়েজ আহমেদ নামের ব্যক্তিকে। তিনি মোবাইলে ভিডিও ধারণ ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে লাইভ শেয়ার করেন। যা মুহুর্তে ভাইরাল হয়ে যায়। পরে এ নিয়ে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
বিশেষ ক্ষমতা আইনে দুটি মামলার একটিতে ১৭ জন ও আরেকটি মামলায় ২১ জনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। মোট ৪১ জনকে আটক করা হলেও যাচাই-বাছাই শেষে দুজনকে ছেড়ে দেয়া হয়।
কোর্ট পরিদর্শক সালাহ উদ্দিন জানান, বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে ৩৯ আসামিকে আইনি প্রক্রিয়ায় আদালতে পাঠানো হয়। ১ নম্বর আমলি আদালতের বিচারক মোহাম্মদ মাসউদুর রহমান সব আসামিকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
কুমিল্লা নগরীর নানুয়ার দিঘীর উত্তরপাড়ের একটি পূজামণ্ডপে পবিত্র কোরআন শরিফ পাওয়ার অভিযোগ তোলার পর বিচ্ছিন্ন সহিংসতায় শহরে ছড়িয়ে পড়ে উত্তেজনা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে মোতায়েন করা হয় পুলিশ, র্যাব ও বিজিবির বিপুল সংখ্যক সদস্য।
আলোচিত মণ্ডপের পূজার আয়োজকেরা বলছেন, সেখানে পবিত্র কোরআন শরিফ কী করে এলো সে বিষয়ে তাদের কোনো ধারণা নেই। বুধবার সকালে বিষয়টি পূজারিদের নজরে আসে। এর আগে গভীর রাত পর্যন্ত পূজা উদযাপন শেষে মণ্ডপটি জনশূন্য ছিল।