দেশের সব উগ্র সাম্প্রদায়িক অপশক্তির নির্ভরযোগ্য ঠিকানা বিএনপি বলে মনে করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হলের পূজামণ্ডপ পরিদর্শন শেষে বৃহস্পতিবার রাতে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
এ সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান, ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়, সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেনসহ ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে সাম্প্রদায়িক অপশক্তি এবং তাদের দোসররা তৎপর। তারা হিন্দু সম্প্রদায়ের দুর্গাপূজার সময় সহিংসতা তৈরি করে দেশে শান্তি বিনষ্টের পাঁয়তারা চালাচ্ছে। এ মহলটি কারা, এদের পৃষ্ঠপোষক কারা, তাদের আমরা চিনি। বিএনপির পৃষ্ঠপোষকতায় সাম্প্রদায়িক শক্তি মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে, তারা দুঃসাহস দেখাচ্ছে।
‘শেখ হাসিনা সরকারের আমলে ১২ বছরে দেশের পূজামণ্ডপে কোনও সহিংস ঘটনা ঘটেনি। অথচ এবার কুমিল্লাসহ বেশ কয়েকটি জায়গায় নিন্দনীয় ঘটনা ঘটে গেছে। এসবের তদন্ত চলছে। যারা সাম্প্রদায়িক সহিংসতা তৈরি করেছে, তাদের কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। তাদের বিরুদ্ধে সরকারের অবস্থান অত্যন্ত কঠোর।’
সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব দুর্গাপূজায় শুক্রবার বিজয়া দশমী। এদিন প্রতিমা বিসর্জন হবে।
ছাত্রলীগ নেতাদের সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিসর্জনের দিনেও ষড়যন্ত্র থাকতে পারে। সতর্ক পাহারায় থাকতে হবে। কারণ এই অপশক্তি এবং তাদের পৃষ্ঠপোষক বিএনপি। তারা নির্বাচনে ও আন্দোলনে হেরে ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য ষড়যন্ত্রের চোরাগলি বেছে নিয়েছে। তারা দেশের স্থিতি ও শান্তি নষ্ট করতে চায়।’
তিনি বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের শান্তি ও সম্প্রীতি বিনষ্টের চক্রান্ত করছে একটি মহল। এরা বিশৃঙ্খলা করবে। ছাত্রলীগ নেতারা কোনও অবস্থায় মাথা গরম করবেন না। ঠান্ডা মাথায় পরিস্থিতি মোকাবিলা করবেন। আমরা কাউকে আক্রমণ করব না, কিন্তু কেউ আমাদের আক্রমণ করলে সমুচিত জবাব দেয়া হবে।’