বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

পূজামণ্ডপে হামলাকারীদের বিচার দাবি বাম জোটের

  •    
  • ১৪ অক্টোবর, ২০২১ ২১:৪৯

গণতান্ত্রিক বাম জোটের নেতারা বলেন, বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। এখানে হিন্দু-মুসলিম-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান সব ধর্ম ও জাতির মানুষ কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছে।

কুমিল্লা, হাজীগঞ্জ, হাতিয়াসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে পূজামণ্ডপে সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাসী হামলার জন্য দায়ীদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার ও বিচার দাবি করেছে বাম গণতান্ত্রিক জোট।

সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়ে বৃহস্পতিবার বিকেলে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এক সমাবেশে এ দাবি জানান বাম জোটের নেতারা।

সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল পল্টন, গুলিস্তান, জিপিওসহ রাজধানীর কয়েকটি সড়ক প্রদক্ষিণ করে।

বাম জোটের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক ও বাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য কমরেড বজলুর রশীদ ফিরোজের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সিপিবির সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, বাংলাদেশ ইউনাইটেড কমিউনিস্ট লীগের কেন্দ্রীয় সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য অধ্যাপক আব্দুস সাত্তার, বাসদ (মার্কসবাদী) কেন্দ্রীয় নেতা মানস নন্দী।

সমাবেশে নেতারা বলেন, কুমিল্লায় কথিত কোরআন অবমাননা করার অজুহাতে পূজামণ্ডপে হামলা করা হয়েছে। এ ঘটনার জেরে চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে তৌহিদী জনতার নামে মিছিল করে মণ্ডপে হামলা, ভাঙচুর ও সেখানে হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। হাতিয়া, বাঁশখালীসহ সারা দেশেই এবং আজও বান্দরবানসহ বিভিন্ন স্থানে হামলার ঘটনা ঘটেছে, যা পরিকল্পিত ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।

নেতারা বলেন, বংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। এখানে হিন্দু-মুসলিম-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান সব ধর্ম ও জাতির মানুষ কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছে। ধর্মভিত্তিক পাকিস্তান রাষ্ট্রের সঙ্গে ছেদ ঘটিয়ে স্বাধীন সার্বভৌম ধর্মনিরপেক্ষ গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করেছে। কিন্তু বর্তমান সরকারসহ স্বাধীনতা-উত্তর গত ৫০ বছরে রাষ্ট্রক্ষমতায় আসীন সব সরকারই ধর্মান্ধ সাম্প্রদায়িক শক্তির সঙ্গে আপস-আঁতাত করে ক্ষমতায় থাকা বা ক্ষমতায় যাওয়ার নির্লজ্জ প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হয়ে মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত চেতনাকে বিসর্জন দিয়েছে।

নেতারা বলেন, অতীতে রামু, নাসিরনগর, পাবনার সাঁথিয়া, বাঁশখালী, গোবিন্দগঞ্জ, রংপুর, সুনামগঞ্জের শাল্লাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন সময়ে ফেসবুক ও নানা মাধ্যমে গুজব ছড়িয়ে ধর্মীয় ও জাতিগত নিপীড়ন ও হামলার ঘটনা ঘটানো হয়েছে। যখন যে সরকার ক্ষমতায় থাকে তাদের দলীয় লোকজনই প্রধানত এসব সাম্প্রদায়িক হামলায় জড়িত ও নেতৃত্ব দেয়। বর্তমানেও বিভিন্ন স্থানে আওয়ামী লীগের নেতাদের জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে, যার কোনোটিরই বিচার হয়নি। ফলে শাসকদের আশ্রয়-প্রশ্রয়েই দেশে সাম্প্রদায়িক হামলার ঘটনা ঘটছে। বর্তমান সরকার সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষের জানমাল রক্ষা ও ধর্ম পালনের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে। কুমিল্লা-হাজীগঞ্জের ঘটনা তার সর্বশেষ প্রমাণ।

সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন সিপিবির সাধারণ সম্পাদক কমরেড মো. শাহ আলম, বাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য কমরেড রাজেকুজ্জামান প্রমুখ। সমাবেশ পরিচালনা করেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির নেতা আকবর খান।

এ বিভাগের আরো খবর