ভোক্তা যেন বাজার থেকে সহনীয় দামে পেঁয়াজ ও চিনি কিনতে পারেন, সেজন্য এই দুটি নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের শুল্কহার কমানো হয়েছে।
বর্তমানে পেঁয়াজের আমদানি শুল্ক ৫ শতাংশ। এই শুল্ক সম্পূর্ণ প্রত্যাহার করা হয়েছে। আর চিনির নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক বা আরডি ২০ শতাংশ। এটি কমিয়ে ১০ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ‘এনবিআর’। একই দিনে নতুন শুল্কহার কার্যকর করা হয়েছে।
পেঁয়াজের শুল্ক হার কমানোর মেয়াদ বলবৎ থাকবে আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত। আর চিনির ২৪ ফ্রেব্রুয়ারি।
এনবিআর বলেছে, চিনি ও পেঁয়াজের শুল্কহার কমানোর ফলে এই দুটি পণ্যের দাম কমবে এবং ভোক্তারা সহনীয় দামে তা খেতে পারবেন।
এর আগে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে এই দুটি পণ্যের শুল্ক তুলে নেয়ার জন্য এনবিআরকে চিঠির মাধ্যমে অনুরোধ করা হয়। এ অবস্থায় প্রস্তাবটি পর্যালোচনা করে শুল্ক কমিয়ে দিয়েছে এনবিআর।
পূজার কারণে ভারত থেকে পেঁয়াজ কম আসা ও সেখানে দাম বাড়ার অজুহাতে সম্প্রতি দেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম লাফিয়ে বাড়তে শুরু করে।
কেজিপ্রতি ৪৫ টাকা বিক্রি হওয়া পেঁয়াজের দাম হুট করে বেড়ে হয়ে যায় ৮০ টাকা। এ অবস্থায় সংশ্লিষ্টদের নিয়ে গত ১১ অক্টোবর বৈঠকে বসে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
বর্তমানে পেঁয়াজের দাম কিছুটা কমে এখন ৭০ থেকে ৭৫ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।