নোয়াখালীর সুবর্ণচরে ধর্ষণ মামলা থেকে বাঁচতে ৬ষ্ঠ শ্রেণির মাদ্রাসাছাত্রীকে বিয়ের অভিযোগ উঠেছে এক ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে।
বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে নোয়াখালী জেলা জজ আদালতে এফিডেভিট করে ওই কিশোরীকে বিয়ে করেন ছাত্রলীগ নেতা আবু সুফিয়ান। অভিযোগ উঠেছে কিশোরী হলেও মেয়ের বয়স ১৯ দেখিয়ে বিয়ে করা হয়েছে।
অভিযোগ ওঠা ছাত্রলীগ নেতা আবু সুফিয়ানের বাড়ি উপজেলার ৮ নম্বর মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের চরলক্ষ্মী গ্রামে। তিনি সুবর্ণচর উপজেলা ছাত্রলীগের ৩ নম্বর যুগ্ম আহ্বায়ক।
স্থানীয়রা জানান, আবু সুফিয়ান মঙ্গলবার রাতে নিজ বাড়িতে তার দূর সম্পর্কের আত্মীয় ওই মাদ্রাসা শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ করেন। ঘটনাটি জানার পর কিশোরীর পরিবারের সদস্যরা স্থানীয় মোহাম্মদপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন চৌধুরীর কাছে অভিযোগ করেন।
ইউপি চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন চৌধুরী জানান, কিশোরীর বাবা-মা বুধবার সন্ধ্যায় তার কাছে মৌখিক অভিযোগ দেন। তিনি জানার পর তাৎক্ষণিক চরজব্বার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জিয়াউল হককে ফোনে বিষয়টি জানান।
তিনি বলেন, ‘ওসি আমাকে জানায়, ভুক্তভোগী পরিবারকে থানায় পাঠিয়ে দেন। আমি সর্বাত্মক আইনগত ব্যবস্থা নেব।’
অভিযোগ ওঠার পর অবশ্য পুলিশ আবু সুফিয়ানের বাড়িতে গেলেও কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। স্থানীয়দের অভিযোগ, পুলিশ শুধু ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে চলে গেছে।
চরজব্বর থানার ওসি জিয়াউল হক বলেন, ‘প্রেক্ষাপট যেটাই হোক, একটা বাল্যবিয়ে হচ্ছে অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। ওই সময় ছেলেপক্ষ পালিয়ে যায়। আর এ ঘটনায় কেউ থানায় আসেনি এবং কোনো লিখিত অভিযোগও করেনি।’
ছাত্রলীগ নেতা আবু সুফিয়ান কিশোরীর বয়স বাড়িয়ে দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন তার মাদ্রাসার সুপার। তিনি জানান, ওই ছাত্রী তার মাদ্রাসায় ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে পড়াশোনা করছেন। তার বয়স ১৯ হওয়া সম্ভব নয়।
এ বিষয়ে জানতে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে একাধিকবার আবু সুফিয়ানের মোবাইল নম্বরে কল করা হলেও তার সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। মেয়েপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তার কথা বলতে রাজি হননি।