পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত সিমেন্ট খাতের বহুজাতিক কোম্পানি লাফার্জ হোলসিমের শেয়ার প্রতি আয় আরও বেড়েছে। চলতি বছর এখন পর্যন্ত গত বছরের তুলনায় দ্বিগুণ আয় করেছে কোম্পানিটি।
গত জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তৃতীয় প্রান্তিকে কোম্পানিটি শেয়ার প্রতি আয় করেছেন ৮১ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে এই আয় ছিল ৫৬ পয়সা।
তৃতীয় প্রান্তিকের এই আয় যোগ হওয়ায় চলতি বছর জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত নয় মাসে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় দাঁড়িয়েছে ২ টাকা ৬৬ পয়সা। গত বছর একই সময়ে এই আয় ছিল ১ টাকা ২৯ পয়সা ছিল।
বৃহস্পতিবার কোম্পানির পর্ষদ সভায় এই আর্থিক হিসাব পর্যালোচনা করে প্রকাশ করা হয়।
চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিক থেকেই লাফার্জের আয় বাড়ার প্রবণতা দেখা দেয়।
জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় হয় ৮৯ পয়সা। গত বছর একই সময়ে এই আয় ছিল ৪৫ পয়সা।
এরপর এপ্রিল থেকে জুন পর্যন্ত তিন মাসে দ্বিতীয় প্রান্তিকে আয় হয় ৯৬ পয়সা। গত বছর এই সময়ে আয় ছিল ২৮ পয়সা।
দুই প্রান্তিক মিলিয়ে শেয়ার প্রতি আয় ছিল ১ টাকা ৮৫ পয়সা। আগের বছর এই সময়ে আয় ছিল ৭৩ পয়সা।
আয়ের পাশাপাশি শেয়ার প্রতি সম্পদমূল্যও বাড়ছে। সেপ্টেম্বর শেষে এই সম্পদমূল্য ছিল ১৬ টাকা ৬১ পয়সা। জুন শেষে যা ছিল ১৫ টাকা ৮০ পয়সা।
চলতি বছর আয়ের উল্লম্ফনে বহুজাতিক বড় মূলধনি এই কোম্পানিটির শেয়ারদরও ব্যাপকভাবে বাড়ছে।
গত এক বছরে কোম্পানির শেয়ারের সর্বনিম্ন দাম ছিল ৩৬ টাকা ৬০ পয়সা। সাম্প্রতিক উত্থানে সেটি উঠে ১০৭ টাকা ৫০ পয়সা পর্যন্ত। তবে পরে তা কিছুটা কমে এখন দাঁড়িয়েছে ৯৫ টাকা ৯০ পয়সায়।সাম্প্রতিক উত্থান পর্ব শুরু হয় আগস্ট থেকে। ২ আগস্ট শেয়ার মূল্য ছিল ৬২ টাকা ৯০ পয়সা। ৬ অক্টোবর সেটি বেড়ে ১০৭ টাকা ৫০ পয়সায় পৌঁছে।
প্রায় দুই দশক ধরে বাংলাদেশে কার্যক্রম পরিচালনাকারী কোম্পানিটি একটি সিমেন্ট কারখানা ও তিনটি গ্রাইন্ডিং স্টেশন স্থাপনে প্রায় ৫০ কোটি ডলার বিনিয়োগ করেছে, যা সিমেন্ট খাতে এ দেশে সর্বোচ্চ বিদেশী বিনিয়োগ।
এ বিষয়ে লাফার্জহোলসিম বাংলাদেশের প্রধান নির্বাহি রাজেশ সুরানা বলেন, ‘ব্যয় সংকোচন ও সক্ষমতা বৃদ্ধির মাধ্যমে লাফার্জহোলসিম বাংলাদেশ আরো একটি দারুণ প্রান্তিক অতিক্রম করেছে। আমরা যে নতুন নতুন পণ্যসমূহ বাজারে এনেছি সেগুলো অত্যন্ত সফল এবং আমাদের গ্রাহকবৃন্দ আমাদের পণ্য ও সমাধান বৈচিত্র্যে আস্থা রেখেছেন। গ্রাহকদের কাছে আমাদের পণ্য পৌঁছাতে আমাদের ডিজিটাল উদ্যোগগুলো এক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখেছে।’
সুইজারল্যান্ড ভিত্তিক হোলসিম গ্রুপ ও স্পেনভিত্তিক সিমেন্টোস মলিন্স গ্রুপের যৌথ উদ্যোগ পরিচালিত হচ্ছে লাফার্জহোলসিম বাংলাদেশ।
ডিসেম্বর ক্লোজিংয়ের এই কোম্পানিটি ২০২০ সালে ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। ২০২০ সালে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় হয়েছিল ২ টাকা ০৩ পয়সা। ‘এ‘ ক্যাটাগরির এই কোম্পানিটির মোট শেয়ারের ৬৪.৬৮ শতাংশ রয়েছে উদ্যোক্তা পরিচালকদের হাতে। ১৭.৮৪ শতাংশ শেয়ার আছে প্রাতিষ্ঠানিক, দশমিক ৭৪ শতাংশ বিদেশী ও ১৬.৭৪ শতাংশ শেয়ার আছে ব্যাক্তিশ্রেনীর বিনিয়োগকারীদের কাছে।