পাবনায় চরমপন্থি সংগঠন সর্বহারার স্লোগান দিয়ে বিল্লাল মিশরী নামে একজনকে গুলি করে হত্যার আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে দুই আসামি। পরে আদালত তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
ঢাকার আশুলিয়া থেকে মঙ্গলবার রাতে এ মামলার প্রধান আসামি চরমপন্থি নেতা আবুসহ দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ। তাদের কাছ থেকে হত্যায় ব্যবহৃত আগ্নেয়াস্ত্র এবং ছিনিয়ে নেয়া মোটরসাইকেলও উদ্ধার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বেলা ৩টার দিকে পাবনার পুলিশ সুপার মহিবুল ইসলাম খানের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বিল্লাল মিশরী হত্যার ঘটনায় তার চরমপন্থি সংশ্লিষ্টতার বিভিন্ন সূত্র ধরে তদন্তে নামে পুলিশ। মঙ্গলবার রাতে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) মাসুদ আলমের নেতৃত্বে গোয়েন্দা পুলিশ ঢাকার আশুলিয়া থানা এলাকা থেকে চরমপন্থি নেতা মো. আবুল ওরফে আবুকে গ্রেপ্তার করে।
তার দেয়া তথ্যে দুটি ওয়ান শুটারগান ও দুই রাউন্ড গুলি জব্দ করা হয়। আর হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত রিভালভারটি পাওয়া যায় তার সহযোগী সুমন আলীর কাছে। এ সময় বিল্লালের ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটিও উদ্ধার করা হয়।
গ্রেপ্তার আবু ও সুমনের বাড়ি পাবনা সদর উপজেলার হলুদ বাড়িয়া পূর্বপাড়া গ্রামে।
বিজ্ঞপ্তিতে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাসুদ আলম জানান, বিল্লাল মিশরী এক সময় আবুলের সঙ্গে একই চরমপন্থি দলের সদস্য ছিলেন। হত্যাকাণ্ডের কিছুদিন আগে তিনি দলত্যাগ করে নতুন দল গঠনের চেষ্টা করছিল।
এতে ক্ষুব্ধ হয়ে আবু তার সহযোগীদের নিয়ে বিল্লালকে পরিকল্পিতভাবে গুলি করে হত্যা করে বলে আদালতে স্বীকারোক্তি দিয়েছেন। বৃহস্পতিবার দুপুর ২টার দিকে তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
গত ২৭ জুন রাতে আতাইকুলা থানার চরপাড়ায় সর্বহারার শ্লোগান দিয়ে বিল্লালকে গুলি করে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। ওই সময় বিল্লালের মোটরসাইকেলটিও নিয়ে যায় তারা।