বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

কাউন্সিলর চিত্তরঞ্জনের জামিন বাতিল, কারাগারে প্রেরণ

  •    
  • ১৪ অক্টোবর, ২০২১ ১৫:৫৫

গত ১১ সেপ্টেম্বর শ্লীলতাহানির একটি ভিডিও ভাইরাল হলে ওই ঘটনায় ভুক্তভোগী নারী সবুজবাগ থানায় চিত্তরঞ্জন দাসের বিরুদ্ধে মামলাটি করেন।

শ্লীলতাহানির মামলায় সবুজবাগ থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ৫ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর চিত্তরঞ্জন দাসের জামিন বাতিল করে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার ঢাকার মহানগর হাকিম বেগম ইয়াসমিন আরা এ আদেশ দেন।

গত ১৩ সেপ্টেম্বর চিত্তরঞ্জন দাস আইনজীবীর মাধ্যমে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত ধার্য তারিখ পর্যন্ত জামিন মঞ্জুর করেন।

বৃহস্পতিবার ধার্য তারিখে চিত্তরঞ্জন দাস আদালতে হাজির হয়ে ঢাকা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি কাজী নজিব উল্লাহ হিরুর মাধ্যমে স্থায়ী জামিনের আবেদন করেন।

অন্যদিকে, বাদী পক্ষে অ্যাডভোকেট আনিসুর রহমান, নিয়াজ মোর্শেদ নোমান জামিন বাতিলের আবেদন করেন। তারা বলেন, ‘আসামি জামিন পাওয়ার পর মামলা তুলে নিতে বাদীকে হুমকি দিচ্ছেন। সে বিষয়ে থানায় জিডিও হয়েছে।’

শুনানি শেষে আদালত জামিন বাতিল করে চিত্তরঞ্জন দাসকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

গত ১১ সেপ্টেম্বর শ্লীলতাহানির একটি ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর ওই ঘটনায় ভুক্তভোগী নারী সবুজবাগ থানায় চিত্তরঞ্জন দাসের বিরুদ্ধে মামলাটি করেন। তিনি নিজেকে একজন গণমাধ্যম কর্মী বলে এজাহারে উল্লেখ করেছেন।

মামলায় অভিযোগ করা হয়, সবুজবাগ কালীবাড়ি রাস্তা সংলগ্ন একটি দোকান ওই নারীর শ্বশুরের। তার পাশের চা দোকানদার নিজের দোকান সংস্কার করতে চাইলে কাউন্সিলর চিত্তরঞ্জন দাস গরীব চা দোকানদারের কাছে ৪০ হাজার টাকা দাবি করেন।

চাঁদার ব্যাপারে সত্যতা যাচাই করার জন্য ওই নারী রাত পৌনে ৮টার দিকে চিত্তরঞ্জন দাসকে মোবাইলে ফোন দেন। চিত্তরঞ্জন দাস তাকে রাত ৯টা থেকে সাড়ে ৯টার মধ্যে তার রাজারবাগ কালীবাড়ি কার্যালয়ে যেতে বলেন।

রাত পৌনে ১০টার দিকে ওই নারী স্বামীসহ সেখানে যান। চাঁদার বিষয়ে জানতে চাইলে চিত্তরঞ্জন দাস দুই চারটি কথা বলে তাকে পাশের কক্ষে বসতে বলেন। এর একটু পর চিত্তরঞ্জন দাস ওই কক্ষে প্রবেশ করে দরজা বন্ধ করে দেন এবং ওই নারীকে বসা থেকে উঠে দাঁড়ানোর জন্য বলেন। ওই নারী উঠে দাঁড়ালে চিত্তরঞ্জন দাস তাকে জড়িয়ে ধরেন এবং তার স্পর্শকাতর স্থানে হাত দেন। নানা রকম অঙ্গভঙ্গি করে তাকে কুপ্রস্তাব দেন।

এ সময় মান-সম্মানের ভয়ে ওই নারী কোনো চিৎকার করেননি বলে এজাহারে উল্লেখ করেন।

এ বিভাগের আরো খবর