স্নাতক চতুর্থ বর্ষে অকৃতকার্য শিক্ষার্থীদের জন্য ‘বিশেষ পরীক্ষা’ নেয়ার উদ্যোগ নিয়েছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়। আসছে ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে হবে এ পরীক্ষা।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বৃহস্পতিবার পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, বিএ, বিএসএস, বিবিএ ও বিএসসি কোর্সের ‘বিশেষ পরীক্ষার’ জন্য পরীক্ষার্থীদের ফরম পূরণ শুরু হবে ১৯ অক্টোবর, চলবে ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত। অনলাইনে পূরণ করা বিবরণী ফরম, হিসাব বিবরণী ফরম, ইনকোর্সের নম্বরের মূল কপি ও প্রিন্ট কপি আলাদাভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের আঞ্চলিক কেন্দ্রে জমা দেয়া যাবে ১৬ নভেম্বর পর্যন্ত।
এ পরীক্ষার জন্য কোনো ফি দিতে হবে না শিক্ষার্থীদের। শুধু কেন্দ্র ফি বাবদ প্রত্যেক পরীক্ষার্থীকে একটি কোর্সের জন্য ২০০ টাকা এবং একাধিক কোর্সের জন্য ৩০০ টাকা পরিশোধ করতে হবে। নির্ধারিত সময়ের পর জরিমানা দিয়ে ফরম পূরণের সুযোগ থাকবে না।
এ ছাড়া, কেন্দ্র ফি হিসেবে আদায় করা মোট অর্থ থেকে ৫০ টাকা পরীক্ষার্থীর নিজ কলেজের পরীক্ষাসংক্রান্ত খরচের জন্য রেখে পরীক্ষার্থীপ্রতি অবশিষ্ট টাকা নির্ধারিত পরীক্ষাকেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার কাছে রোল নম্বর, রেজিস্ট্রেশন নম্বর বিবরণীসহ পরীক্ষার তিন দিন আগে জমা দিতে হবে।
যারা অংশ নিতে পারবেন
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ২০১৩-১৪, ২০১৪-১৫ ও ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের নিবন্ধিত যে শিক্ষার্থীরা ২০১৯ সালের অনার্স চতুর্থ বর্ষ পরীক্ষার সব বিষয়ে অংশগ্রহণ করে এক বা একাধিক বিষয়ে অকৃতকার্য হয়েছেন, শুধু সেসব শিক্ষার্থীরা পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করতে পারবে।
এর আগে স্নাতক চতুর্থ বর্ষের চূড়ান্ত ফলাফলে ২৮ শতাংশ শিক্ষার্থী ফেল করার অভিযোগ ওঠে। যদিও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এ অভিযোগ নাকচ করে।
গত ১২ সেপ্টেম্বর স্নাতক চতুর্থ বর্ষের চূড়ান্ত ফলাফলে অসন্তোষ জানিয়ে গাজীপুরে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ফটকের সামনে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা অনশনে বসলে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয় পুলিশ। এ সময় পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি, লাঠিচার্জের পর স্বাভাবিক হয় বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা।
সে সময় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. মশিউর রহমান নিউজবাংলাকে বলেছিলেন ‘স্নাতক চতুর্থ বর্ষের চূড়ান্ত ফলাফলে ২৮ শতাংশ শিক্ষার্থী ফেল করার যে তথ্যটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে তা সত্য নয়। কারণ আমরা নথিপত্র পর্যালোচনা করে দেখেছি, ৭২ শতাংশ শিক্ষার্থী সব বিষয়ে উত্তীর্ণ হয়েছেন।
‘আর ১০ শতাংশ শিক্ষার্থী কোনো না কোনো পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেননি, অর্থাৎ তারা অনুপস্থিত ছিলেন। এ হিসাবে ১৮ শতাংশ শিক্ষার্থী ফেল করেছেন। আর এই ১৮ শতাংশ শিক্ষার্থী কিন্তু সব বিষয়ে ফেল করেননি। কেউ হয়তো এক বা একাধিক বিষয়ে ফেল করেছেন। ফেলের এ হার অস্বাভাবিক নয়। তারপরও আমরা শিক্ষার্থীদের কথা বিবেচনায় নিয়ে খাতা পুনর্নিরীক্ষণের ব্যবস্থা করেছি।’