বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

পূজার নিরাপত্তাকর্মীর খাবার দিচ্ছে মাদ্রাসা

  •    
  • ১৪ অক্টোবর, ২০২১ ১৪:৪৯

বোয়ালখালী মাদরাসার পরিচালক মাওলানা আব্দুল্লাহ মেহেরী বলেন, ‘আমাদের ধর্ম ও নবীজী বলেছেন, প্রত্যেক ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে। মাদরাসায় দায়িত্ব নেয়ার পর থেকে এমন সেবা করার সুযোগ পেয়ে আমিও খুশি। দুর্গা পূজা কিংবা রাস উৎসবসহ মন্দিরের প্রতিটি উৎসবে যদি আমাদের কোনো সহযোগিতা প্রয়োজন পড়ে, আমরা দিয়ে থাকি।’

শারদীয় দুর্গোৎসবে একটি মণ্ডপের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশ সদস্যদের তিন বেলা খাবারের ব্যবস্থা করছে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ। অনন্য সম্প্রীতির এমন নিদর্শন পাহাড়ি জেলা খাগড়াছড়ির দীঘিনালায়।

শুধু এবার নয়, ২১ বছর ধরে এমন ধারাবাহিকতা রেখেছে দীঘিনালার বোয়ালখালীর ইসলামিয়া মাদরাসা হেফজখানা ও এতিমখানা।

দুর্গা পূজার পাশাপাশি হিন্দুদের রাস উৎসব ও মাদ্রাসার বার্ষিক মাহফিল অনুষ্ঠানেও সবার জন্য খাবারের ব্যবস্থা করছে মাদরাসা কর্তৃপক্ষ।

দীঘিনালার বোয়ালখালী এলাকায় রাস্তার এক পাশে নারায়ণ মন্দিরে চলছে শারদীয় দুর্গোৎসব। রাস্তার অন্য পাশেই বোয়ালখালী ইসলামিয়া মাদ্রাসা হেফজখানা ও এতিম খানা। দুই সম্প্রদায়ের দুই প্রতিষ্ঠান পাশাপাশি হলেও সব কিছুই সেখানে স্বাভাবিক। প্রতিবেশীর মতো একে অপরের সহায়তায় দাঁড়িয়েছে দুই সম্প্রদায়ের মানুষ।

বোয়ালখালী নারায়ণ মন্দিরের নিরাপত্তার দায়িত্বে আছেন পুলিশের পাঁচ সদস্য। দায়িত্বে থাকা পুলিশের সহকারী উপ পরিদর্শক (এএসআই) মো. খলিলুর রহমান নিউজবাংলাকে জানান, সম্প্রীতির অনন্য নজির দেখে তিনি বিস্মিত। পুলিশ সদস্যদের প্রতি বেলার খাবার আসছে মাদরাসা থেকে।

বোয়ালখালী নারায়ণ মন্দির পরিচালনা কমিটির সভাপতি মৃদুল কান্তি সেন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘মন্দির ও মাদারাসার পাশাপাশি এ সহাবস্থান ৫০ বছরেরও বেশি সময় ধরে। আমাদের বিভিন্ন উৎসব ও পূজায় সহযোগিতা করছে মাদরাসা কর্তৃপক্ষ। মাদরাসার বিভিন্ন অনুষ্ঠানেও আমরা যাই।’

বোয়ালখালী মাদরাসার পরিচালক মাওলানা আব্দুল্লাহ মেহেরী বলেন, ‘আমাদের ধর্ম ও নবীজী বলেছেন, প্রত্যেক ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে। মাদরাসায় দায়িত্ব নেয়ার পর থেকে এমন সেবা করার সুযোগ পেয়ে আমিও খুশি। দুর্গা পূজা কিংবা রাস উৎসবসহ মন্দিরের প্রতিটি উৎসবে যদি আমাদের কোনো সহযোগিতা প্রয়োজন পড়ে, আমরা দিয়ে থাকি। এ ছাড়া মাদরাসায় বিভিন্ন অনুষ্ঠানেও তারা (হিন্দু সম্প্রদায়) এগিয়ে আসেন।’

দীঘিনালা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. কাশেম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘এ উপজেলায় সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও ভ্রাতৃত্বের বন্ধন সুদীর্ঘ কাল ধরে অটুট। প্রতিটি উৎসব এখানে সব সম্প্রদায়ের মানুষের অংশগ্রহণে সার্বজনীন রূপ পায়।’

এ বিভাগের আরো খবর