রাজধানীর ওয়ারীতে রামকৃষ্ণ মিশনে শিশু সন্তানের চিকিৎসা করাতে এসে অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে পড়েছেন এক গৃহবধূ। ওই নারী এখন গুরুতর অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
অচেতন অবস্থায় বুধবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে ওই নারীকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে রাত পৌনে ১২টায় তার পাকস্থলি ওয়াশ দিয়ে নবাব সলিমুল্লাহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়।
ওই গৃহবধূর ভাই ইমাম হোসেন বলেন, ‘আমার বড় বোন আমার তিন বছর বয়সী ভাগিনা নিয়ামুল হাসানকে মুগদার বাসা থেকে চিকিৎসার উদ্দেশ্যে রামকৃষ্ণ মিশনে যান। সেখানে ভাগিনার চিকিৎসা শেষে বাসায় আসার পথে মিশনের বাউন্ডারির ভেতরে অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকেন। পরে আমার ভাগিনা মা মা বলে চিৎকার করলে পথচারী এক মহিলা তার ব্যাগ থেকে ফোন নম্বর সংগ্রহ করে ফোন করলে আমরা এসে তাকে উদ্ধার করি।’
ওই নারীর ভাই জানান, তার বোনের কাছে এক ভরি স্বর্ণের চেইন, কানের দুল হাতে রিং, একটি অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ছিল। ভ্যানিটি ব্যাগে ছিল ২৬ শ টাকা। এগুলো সব কে বা কারা নিয়ে গেছে।
ওই নারীর অবস্থা দেখে স্বজন, চিকিৎসক ও পুলিশ বলছেন, অজ্ঞান পার্টির খবরে পড়েছিলেন তিনি।
ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের সহকারী ইনচার্জ (এএসআই) আব্দুল খান জানান, গত কিছু দিন অজ্ঞান পার্টি ব্যাপকহারে বেড়ে গেছে। প্রতিদিন তাদের খপ্পরে পড়া চার-পাঁচজনকে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসা হয়। অনেক মূল্যবান জিনিসপত্র খোয়া যায়।