বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ঘরে বাবা-মা-ছেলের রক্তাক্ত মরদেহ

  •    
  • ১৪ অক্টোবর, ২০২১ ০৯:১১

মীরসরাইয়ের জোরারগঞ্জের সোনাপাহাড় এলাকায় মুদি ব্যবসায়ী মোস্তফা সৌদাগরের বাড়ি থেকে বৃহস্পতিবার ভোর ৫টার দিকে মরদেহগুলো উদ্ধার করা হয়। নিহতরা হলেন মোস্তফা সৌদাগর, তার স্ত্রী জোসনারা বেগম এবং ছেলে হোসেন আহম্মেদ।

চট্টগ্রামের মীরসরাইয়ে একটি বাড়ি থেকে এক ব্যবসায়ী, তার স্ত্রী ও ছেলের রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ঘটনায় জড়িত সন্দেহে দম্পতির আরেক ছেলেকে হেফাজতে নেয়া হয়েছে।

মীরসরাইয়ের জোরারগঞ্জের সোনাপাহাড় এলাকায় মুদি ব্যবসায়ী মোস্তফা সৌদাগরের বাড়ি থেকে বৃহস্পতিবার ভোর ৫টার দিকে মরদেহগুলো উদ্ধার করা হয়।

নিহতরা হলেন ৬০ বছরের মোস্তফা সৌদাগর, তার স্ত্রী ৫০ বছরের জোসনারা বেগম এবং ২৪ বছর বয়সী ছেলে হোসেন আহম্মেদ।

জোরারগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূর হোসেন মামুন বিষয়টি নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানিয়েছেন, তিনজনকেই কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে।

ওসি বলেন, ‘আমরা ভোর ৫টার দিকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যাই। মরদেহগুলো ঘটনাস্থলেই রয়েছে (সকাল ৯টা পর্যন্ত)। আমরা ঘটনায় জড়িত সন্দেহে মোস্তফা সৌদাগরের আরেক ছেলে সাদ্দামকে হেফাজতে রেখে জিজ্ঞাসাবাদ করছি।

‘নিহত সবার গলায়, পেটে ও পিঠে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।’

ওসি আরও বলেন, সাদ্দাম নিহত দম্পতির বড় ছেলে। মরদেহ উদ্ধারের সময় বাড়িতেই ছিলেন তিনি ও তার স্ত্রী আইনুন নাহার।

পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, ‘সাদ্দাম ও তার স্ত্রী আইনুন আমাদের জানিয়েছেন যে ভোরে তিনজন লোক বাড়িতে ঢোকে। এর মধ্যে দুজন লোক তাদের দুজনকে জিম্মি করে ঘুমিয়ে থাকা বাবা-মা-ভাইকে কুপিয়ে পালিয়ে যায়।

‘তবে প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, তারা ভোর ৫টার দিকে চিৎকার শুনে মোস্তফা সৌদাগরের ঘরে যাওয়ার চেষ্টা করেন, কিন্তু বাড়ির দরজা ভেতর থেকে বন্ধ ছিল।’

ওসি নূর বলেন, ‘সবকিছু বিবেচনা করে আমরা আপাতত সাদ্দাম ও তার স্ত্রীকে সন্দেহভাজন হিসেবে রেখেছি। সাদ্দামকে থানায় নেয়া হয়েছে। তবে আইনুন নাহার অন্তঃসত্ত্বা হওয়ায় তাকে বাড়িতেই পুলিশের হেফাজতে রাখা হয়েছে।’

স্থানীয় ইউপি সদস্য মনির আহমেদ ভাসানী নিউজবাংলাকে বলেন, ‘মোস্তফা সৌদাগরের তিন ছেলে ও এক মেয়ে। মেয়ে থাকে শ্বশুরবাড়ি। আর ছোট ছেলে কাজের জন্য বারৈয়ারাহাটে থাকেন।

‘ঘটনার সময় বাড়িতে পাঁচজন ছিলেন। এর মধ্যে মোস্তফা সৌদাগর, তার স্ত্রী আর মেজো ছেলে তো মারাই গেল। তাহলে স্বাভাবিকভাবে সন্দেহ বড় ছেলে আর তার স্ত্রীর ওপরই।’

তবে কী কারণে তারা পরিবারের তিনজনকে হত্যা করবেন, সে বিষয়ে কোনো ধারণা নেই বলে জানান ইউপি সদস্য মনির।

এ বিভাগের আরো খবর