কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলায় ধর্ষণ মামলার আসামি বিএনপি নেতা রিয়াজুল হক জোদ্দার।
মঙ্গলবার তিনি জামিনে ছাড়া পেলে আনন্দ মিছিল করেছেন চিলমারী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতা-কর্মীরা। ঘটনাটি সামাজিক ও রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে।
গত ২৫ জুলাই উপজেলার চিলমারী ইউনিয়নের গাছবাড়ী এলাকায় স্বামী পরিত্যক্তা এক নারীকে ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। অভিযোগ আছে, এ ঘটনায় বিচারক হয়ে ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করেছিলেন চিলমারী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি রিয়াজুল হক জোদ্দার। পরে ওই ধর্ষণ মামলায় তাকেও আসামি করা হয়।
দীর্ঘদিন পলাতক থাকার পর গত ১৭ সেপ্টেম্বর রিয়াজুল হককে গ্রেপ্তার করে জেলহাজতে পাঠায় পুলিশ। পরে গত ১২ অক্টোবর তিনি জামিনে মুক্তি পান। সেদিনই সন্ধ্যায় মুক্তি উপলক্ষে তার গলায় ফুলের মালা পরিয়ে আনন্দ মিছিল করেন চিলমারী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতা-কর্মীরা।
আনন্দ মিছিলে অংশ নেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকসহ ওই ইউনিয়নের অন্য নেতা-কর্মীরা।
এ ঘটনায় উপজেলা আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নেতা-কর্মীদের মধ্যে নানা আলোচনা সমালোচনা শুরু হয়েছে।
উপজেলা বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি ও নয়ারহাট ইউপি চেয়ারম্যান আবু হানিফা বলেন, বিএনপির চেয়ারম্যান প্রার্থীকে আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান গওছল হক মণ্ডল কর্তৃক জামিনে মুক্ত করার বিষয়টি রহস্যজনক।
তবে এতে রহস্যের কিছু নেই বলে মন্তব্য করেছেন চিলমারী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান গওছল হক মণ্ডল। তিনি বলেন, ‘কে কি বলল তাতে যায়-আসে না। রিয়াজুল হক জোদ্দার মুক্তি পেলে সবাই তাকে বরণ করেছে। সেখানে কিসের আওয়ামী লীগ, কিসের বিএনপি।
উপজেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল বারী সরকার বলেন, গওছল হক মণ্ডল মানবিক কারণে তার জামিনের ব্যবস্থা করেছেন। জামিনে মুক্তির পর নিজ এলাকায় ফিরলে স্থানীয় মানুষ তাকে ফুল দিয়ে বরণ করেছেন।