জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীদের করোনারোধী টিকা দেয়ার কার্যক্রম আগামী ২১ অক্টোবর শুরু হবে।
প্রথম দিনে সকাল ১০টায় ‘জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় দিবস’ উপলক্ষে ১০০ শিক্ষার্থীকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিক্যাল সেন্টারে টিকা দিয়ে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হবে। এরপর পর্যায়ক্রমে ২৫ অক্টোবর থেকে সব শিক্ষার্থীকে টিকা দেয়া হবে।
বুধবার জবি ক্যাম্পাসে টিকাকেন্দ্র স্থাপনের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিক্যাল সেন্টার পরিদর্শনের সময় তেজগাঁও থানা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ড. মো. এম ইসলাম বুলবুল এসব তথ্য জানান।
বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিক্যাল সেন্টারে টিকাদান শুরুর আগে একটি ট্রেনিং কর্মসূচি হবে। প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত এই কেন্দ্রে টিকাদান কর্মসূচি চলবে। মোট ১২টি বুথ বসানো হবে। ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য আলাদা বুথ থাকবে। টিকা নেয়ার পর তাদের পর্যবেক্ষণের জন্য আলাদা ওয়েটিং রুমেরও ব্যবস্থা থাকবে।
টিকার জন্য রেজিস্ট্রেশন করে এখনও যাদের টিকাগ্রহণের তারিখসহ বার্তা আসেনি তারা টিকাকেন্দ্রে এসে রেজিস্ট্রেশন করে টিকার তারিখ নিতে পারবেন।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের এ টিকাকেন্দ্রে চীনের তৈরি সিনোফার্মের প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ দেয়া হবে। টিকা দেয়ার জন্য ১২ জন নার্স ও দুইজন ডাক্তার নিয়োজিত থাকবেন। আগাম সতর্কতা হিসেবে মেডিক্যাল সেন্টারে দুইটি বেড ও দুইটি অক্সিজেন সিলিন্ডারের ব্যবস্থা থাকবে।
এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. কামালউদ্দীন আহমদ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা, কর্মচারীদের টিকার আওতায় আনতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিক্যাল সেন্টারে স্থাপন করা হচ্ছে করোনার টিকাকেন্দ্র। এ কেন্দ্রে চীনের তৈরি সিনোফার্মের টিকা দেয়া হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘উপাচার্য মহোদয়ের সঙ্গে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ডেপুটি ডিরেক্টর জেনারেলের আলাপ হয়েছে। টিকাকেন্দ্রের বিষয়টি ফাইনাল। তারা এখন আমাদের লোকবল আছে কি না, তা দেখতে চাচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, নার্স আমরা জোগাড় করে দিব। সেভাবে তারা প্রস্তুতি নিচ্ছে।’
কোষাধ্যক্ষ আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে টিকাকেন্দ্র অনুমোদিত হয়ে গেছে। এখন যেকোনো সময় আমাদের হাতে চিঠি আসবে।
এদিকে, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের কোভিড-১৯ টিকার আওতায় আনার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে টিকা কেন্দ্র স্থাপনের উদ্যোগ নেয়ায় শিক্ষার্থীদের টিকা গ্রহণের সবশেষ তথ্য দেয়ার নির্দেশনা দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মো. ওহিদুজ্জামান স্বাক্ষরিত একটি বিজ্ঞপ্তিও প্রকাশ করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সকল শিক্ষার্থীকে টিকার আওতায় আনার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে টিকা কেন্দ্র স্থাপনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এজন্য শিক্ষার্থীদেরকে টিকার সর্বশেষ তথ্য (নাম, স্টুডেন্ট আইডি, এনআইডি, টিকা কেন্দ্রের নাম, প্রথম ডোজ, দ্বিতীয় ডোজ, এনআইডি না থাকলে জন্মনিবন্ধনের নম্বর, মোবাইল নম্বর) জরুরি ভিত্তিতে দিতে হবে।
এছাড়াও শিক্ষার্থীদের চলমান সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে তাদের কাছ থেকে সর্বশেষ তথ্য সংগ্রহ করার কথা উল্লেখ করা হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে।
এর আগে গত ২৯ আগস্ট ও ২৭ সেপ্টেম্বর দুটি পৃথক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের টিকার তথ্য চেয়েছিল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
এছাড়াও যেসব শিক্ষার্থীর এখনও জাতীয় পরিচয় পত্র (এনআইডি) হয়নি তাদের জন্য ক্যাম্পাসেই এনআইডি রেজিষ্ট্রেশনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. মোস্তফা কামাল।
তিনি বলেন, ‘উপাচার্য মহোদয় এ বিষয়ে কথা বলছেন। স্পটে এনআইডি রেজিস্ট্রেশনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।’