কুমিল্লার ঘটনা সাম্প্রদায়িক অপশক্তির কাজ বলে মনে করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। এই ঘটনায় যারা জড়িত তাদের কেউ ছাড় পাবে না বলে নিশ্চয়তাও দিয়েছেন তিনি।
বুধবার সন্ধ্যায় রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ- কেআইবি প্রাঙ্গণে শারদীয় দুর্গাপূজার মহাষ্টমীর শুভেচ্ছা প্রদান অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী।
আগামী জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে দেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্টের চেষ্টা চলছে অভিযোগ করে আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, ‘যারা এই কাজ করতে চায়, তাদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।’
এই ঘটনাকে ব্যবহার করে যারা হিন্দুদের মন্দিরে হামলা চালায় তারা দলীয় পরিচয়ের হলেও ছাড় দেয়া হবে না বলেও ঘোষণা দেন তিনি।
কুমিল্লা নগরীর নানুয়ার দিঘীর উত্তরপাড়ের একটি পূজামণ্ডপে কোরআন শরিফ পাওয়ার অভিযোগ তোলার পর বুধবার সকাল থেকে শহরে ছড়িয়ে পড়ে উত্তেজনা।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে মোতায়েন করা হয়েছে পুলিশ, র্যাব ও বিজিবির বিপুল সংখ্যক সদস্য। তবে আলোচিত মণ্ডপের পূজার আয়োজকেরা বলছেন, সেখানে পবিত্র কোরআন শরিফ কী করে এলো সে বিষয়ে তাদের কোনো ধারণা নেই।
বুধবার সকালে বিষয়টি পূজারিদের নজরে আসে। এর আগে গভীর রাত পর্যন্ত পূজা উদযাপন শেষে মণ্ডপটি জনশূন্য ছিল।
পূজার আয়োজক দর্পনসংঘের সভাপতি সুবোধ রায় জানান, কম বাজেটের মণ্ডপ বলে সিসি ক্যামেরা বসানো হয়নি। এ ঘটনায় কারা জড়িত সেটি বের করার দাবি জানিয়েছেন তিনি।
জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমাদের আপাতত লক্ষ্য হচ্ছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা। এখন সেটার জন্য যা যা প্রয়োজন তা-ই করা হচ্ছে। কে বা কারা কী উদ্দেশ্যে এ কাজ করেছে তা এখনই বলা যাচ্ছে না, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার পর তদন্ত শুরু হবে। তদন্তের জন্য আমরা তিন সদস্যের কমিটি করেছি।’
বিজিবির কুমিল্লা ১০ ব্যাটালিয়নের কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কর্নেল গোলাম ফজলে রাব্বি নিউজবাংলাকে জানান, শহরে চার প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এক অনন্য নজির স্থাপন করেছেন উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘সারা দেশে এক উৎসবমুখর পরিবেশে সার্বজনীন দুর্গাপূজা দুর্গা উৎসবে পরিণত হয়েছে।
‘সারা দেশে প্রায় ৩০ থেকে ৩৫ হাজার পূজামণ্ডপে উৎসব পালিত হচ্ছে, তাই একটি কুচক্রী মহলের গাত্রদাহ হচ্ছে।’
ওবায়দুল কাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়ে কাদের বলেন, ‘কোনো দুর্বৃত্ত যেন মন্দিরে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি বা হামলা করতে না পারে সেদিকে সতর্ক থাকতে হবে।’