নীলফামারীতে ধর্ষণ এবং নির্যাতনের অভিযোগে আদালতে মামলা করে বিবাদীদের হুমকি পাওয়ার কথা জানিয়েছেন এক গৃহবধূ। তিনি নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছেন বলে অভিযোগ করেন এক সংবাদ সম্মেলনে।
জেলা শহরের মিডিয়া হাউজে বুধবার দুপুর ৩টার দিকে সংবাদ সম্মেলনে ওই গৃহবধু অভিযোগ করে বলেন, ‘জেলা সদরের লক্ষ্মীচাপ ইউনিয়নের আকাশকুড়ি গ্রামের মনিরুজ্জামান মিঠুর সঙ্গে ২০০৫ সালের ৮ জুলাই বিয়ে হয় আমার। স্বামী একটু অ্যাবনরমাল (মানসিক ভারসাম্যহীন) হওয়ায় দেবর সুমন ইসলাম আমাকে কুপ্রস্তাব দিতে থাকেন। এতে রাজি না হওয়ায় প্রভাব খাটিয়ে শ্বশুর, শাশুড়ি এমনকি আমার স্বামীকে দিয়েও নানা অছিলায় আমাকে নির্যাতন করেন সুমন।
‘চলতি বছরের ২১ জুলাই বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে ঘরে একা পেয়ে সুমন আমাকে ধর্ষণ করেন। বিষয়টি স্বামী, শ্বশুর, শ্বাশুড়িকে জানান হলে ঘরে আটকে রেখে আমাকে নির্যাতন করা হয়। পরে প্রতিবেশী ও পরিবারের সদস্যরা আমাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে।
‘সুস্থ হয়ে গত ৯ সেপ্টেম্বর আদালদতে ধর্ষণ এবং নির্যাতনের অভিযোগে পাঁচ জনকে আসামি করে আদালতে মামলা করি। ওই মামলার পর থেকে আসামি সুমন এবং তার লোকজন আমার পরিবারের সদস্যদের বিভিন্নভাবে হুমকি দিচ্ছে। হুমকির কারণে আমরা নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছি।’
তিনি জানান, ওই ঘটনার পর থেকে নীলফামারী শহরের শান্তিনগরে বাবার বাড়ীতে অবস্থান করছেন তিনি। ১৩ বছরের মেয়ে এবং ১০ বছর বয়সের ছেলের সঙ্গেও যোগাযোগ করতে দিচ্ছে না তাকে। ওষুধ ব্যবসায়ী সুমন টাকার জোরে অবৈধ প্রভাব বিস্তার করে মামলা প্রত্যাহারের চাপ সৃষ্টি করছে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ওই গৃহবধূর বাবা, সাক্ষী মো. ফারুক হোসেন।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে সুমন ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে সব অভিযোগ কৌশলে এড়িয়ে যান তিনি।