নবায়নযোগ্য জ্বালানির প্রসারে বাংলাদেশ দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণ করছে। এ জন্য বিদ্যুৎ উৎপাদনের রোডম্যাপ করা হয়েছে।
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ এ তথ্য জানান।
সচিবালয়ে প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদের সঙ্গে এশিয়া-প্যাসিফিক অ্যান্ড সাউথ এশিয়ার কপ-২৬ রিজিওনাল অ্যাম্বাসেডর কেন ‘ও' ফ্লাহারটি বুধবার সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। এ সময় নবায়নযোগ্য জ্বালানির প্রসার নিয়ে দ্বিপক্ষীয় আলোচনা হয়।
মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ক্লিন পাওয়ার ও এনার্জির দিকে অগ্রসর হওয়ার বিকল্প, জ্বালানি পরিবর্তনসংক্রান্ত বিনিয়োগ, নবায়নযোগ্য জ্বালানির অংশ বৃদ্ধি, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতা নিয়ে তারা আলোচনা করেন।
প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, ‘বাংলাদেশে নবায়নযোগ্য জ্বালানি নীতিমালা বাস্তবায়নে বছরভিত্তিক পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। ২০৩০ সাল পর্যন্ত নবায়নযোগ্য জ্বালানি হতে নবায়নযোগ্য বিদ্যুৎ উৎপাদনের রোডম্যাপ করা হয়েছে।
‘কার্বনের নিঃসরণ শূন্যের কোঠায় নেয়াকে সমর্থন করে বাংলাদেশ পরিকল্পনামাফিক কাজ করছে। ইলেকট্রনিক ভেহিকেল ব্যবহারসংক্রান্ত নীতিমালা করা হচ্ছে। সৌরবিদ্যুৎ প্রসারে প্রচুর অকৃষি ভূমি প্রয়োজন, যা বাংলাদেশের মতো ঘনবসতি এলাকায় অত্যন্ত দুরূহ। তারপরও চেষ্টা চলছে।’
বিকল্প নানা প্রচেষ্টার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ ও বায়ুবিদ্যুৎ নিয়েও কাজ হচ্ছে। ভারত থেকে সৌরবিদ্যুৎ এবং নেপাল ও ভুটান থেকে জলবিদ্যুৎ আনার পরিকল্পনা রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্লাইমেট ভারনারেবল ফোরামের সভাপতি হওয়ায় নবায়নযোগ্য জ্বালানির প্রসারে বাংলাদেশ প্রতিনিয়ত অ্যাডভোকেসি করছে। প্রতিবেশী দেশগুলোর মধ্যে সহযোগিতা বাড়াতে কপ-২৬ অবদান রাখতে পারে।’
আলোচনাকালে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাজ্যের হাইকমিশনার রবার্ট চ্যাটারটন ডিকসন।