জাতীয় প্রেস ক্লাবে কোনো দলের আলোচনা, সেমিনারের নামে রাজনৈতিক কর্মসূচি ও সমাবেশ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ক্লাব কর্তৃপক্ষ।
বুধবার জাতীয় প্রেস ক্লাব ব্যবস্থাপনা কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়।
প্রেস ক্লাবের যুগ্ম সম্পাদক মঈনুল আলম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রেস ক্লাব কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নিয়েছে আলোচনা সভা, সেমিনারের নামে কোনো দলের রাজনৈতিক কর্মসূচি, সমাবেশ করতে দেয়া হবে না।
সভায় জিহাদ স্মৃতি পরিষদ, জিয়া পরিষদসহ যেকোনো দলের রাজনৈতিক সমাবেশ ও কর্মসূচি ভবিষ্যতে বন্ধ থাকবে বলে সর্বসম্মতভাবে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
দাবি করা হয়, ইতোপূর্বে এসব সংগঠনের কর্মসূচির ফলে ক্লাবে বিশৃঙ্খলা ও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে। ফলে ঐতিহ্যবাহী প্রেস ক্লাবের সুনাম ও মর্যাদা ক্ষুণ্ন হয়। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট সবাইকে অবহিত করার পাশাপাশি এবং সার্বিক সহযোগিতা কামনা করা হচ্ছে।
গত ১০ অক্টোবর রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবে বিএনপির একটি স্মরণসভাকে কেন্দ্র করে নিজেদের মধ্যে হট্টগোল ও ধাক্কাধাক্কি করেন দলটির উত্তেজিত নেতা-কর্মীরা। ১৯৯০ সালের ১০ অক্টোবর স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে নিহত নাজির উদ্দিন জেহাদের স্মরণে ওই সভার আয়োজন করেছিল বিএনপি।
ওই ঘটনার পরদিন সোমবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক সভায় তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, ‘প্রেস ক্লাবে অবশ্যই সরকারের পক্ষে-বিপক্ষে বা সিভিল সোসাইটির আলোচনা সভা হতে পারে। কিন্তু নয়াপল্টনে কার্যালয়ের সামনে যেভাবে সমাবেশ হয়, প্রেস ক্লাবকে সেভাবে সমাবেশস্থল বানানো সমীচীন নয়। যেটি রোববার বিএনপি করেছে বলে জানি।’
বুধবার প্রেস ক্লাবের ওই সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিনের সভাপতিত্বে বুধবার ব্যবস্থাপনা কমিটির সভায় গত ১০ অক্টোবর ক্লাব প্রাঙ্গণে সংঘটিত বিশৃঙ্খল ও অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনাবলি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।
সভায় বলা হয়, কমিটি ক্লাব ও সদস্যদের স্বার্থে ক্লাবে শৃঙ্খলা ও নিয়মানুবর্তিতা বজায় রাখতে বদ্ধপরিকর। যেকোনো মূল্যে ক্লাবের স্বার্থ, মর্যাদা সমুন্নত রাখা হবে। ক্লাবের বিভিন্ন হল ও মিলনায়তন ভাড়া প্রদানের ক্ষেত্রে নির্ধারিত নিয়মাবলি ও শর্ত আবশ্যিকভাবে পালন করা হবে।