বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

আইপিওর টাকা ব্যবহার নিশ্চিতে বিএসইসির নজরদারি

  •    
  • ১৩ অক্টোবর, ২০২১ ২০:৪৫

ওয়ালটনের সঙ্গে বৈঠকের পর বিএসইসির মুখপাত্র ‘এমনভাবে সব কোম্পানিকে ডাকা হবে। কারণ, ইতিপূর্বে দেখা গেছে, কোম্পানিগুলো যে উদ্দেশ্যে পুঁজিবাজার থেকে টাকা উত্তোলন করেছে তা যথাযথভাবে ব্যবহার নিশ্চিত করেনি। ফলে তাদের আর্থিক কোনো অগ্রগতি হয়নি, বরং বিনিয়োগকারীরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।’

পুঁজিবাজার থেকে টাকা টাকা তুলে ঘোষণা অনুযায়ী তা ব্যয় হচ্ছে কি না সে নজরদারি জোরদার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি।

এর অংশ হিসেবে বুধবার কমিশনে ডাকা হয়েছিল পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত প্রকৌশল খাতের কোম্পানি ওয়ালটনের কর্তা ব্যক্তিদের।

বিএসইসি কমিশনার শেখ শামসুদ্দিন আহমেদের উপস্থিতিতে সভায় ওয়ালটন তার ভবিষ্যৎ ব্যবসায়ীক পরিকল্পনা, তাদের সহযোগী কোনো প্রতিষ্ঠানের মূলধন সংগ্রহে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হবে কি না, আইপিওর মাধ্যমে যে টাকা তোলা করা হয়েছে সেগুলোর ব্যবহার কীভাবে হচ্ছে সে বিষয়গুলো আলোচনা হয় বলে জানিয়েছেন সংস্থাটির মুখপাত্র রেজাউল করিম।

২০২০ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিটি বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে তালিকাভুক্ত হয়ে ১০০ কোটি টাকা সংগ্রহ করে। এর মধ্যে প্রাতিষ্ঠানিক বা যোগ্য বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে সংগ্রহ করা হয় ৬০ কোটি ৯৬ লাখ ৫৭ হাজার ৮০৫ টাকা। ব্যক্তিশ্রেণির বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে সংগ্রহ করা হয় ৩৯ কোটি ৩ লাখ ৪২ হাজার ১৯৫ টাকা।

ঘোষণা অনুযায়ী সংগৃহীত তহবিল থেকে সাড়ে ৬২ কোটি টাকা ব্যয় করা হবে ব্যবসা সম্প্রসারণে, ৩৩ কোটি টাকায় পরিশোধ করা হবে ঋণ। সাড়ে চার কোটি টাকা আইপিও প্রক্রিয়ায় খরচ করার কথা জানানো হয়।

ওয়ালটন ঘোষণা অনুযায়ী টাকা খরচ করছে কি না, সে বিষয়ে আলোচনা করা হয় বলে নিশ্চিত করেছেন বিএসইসি মুখপাত্র তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘পুঁজিবাজার থেকে কোম্পানিগুলো যে উদ্দেশ্যে টাকা উত্তোলন করেছে, তারা তা সঠিকভাবে ব্যয় করছে কি না, তা নিশ্চিত হওয়ার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। তারই অংশ হিসেবে ওয়ালটন কর্তৃপক্ষকে ডাকা হয়েছিল।

‘এমনভাবে সব কোম্পানিকে ডাকা হবে। কারণ, ইতিপূর্বে দেখা গেছে, কোম্পানিগুলো যে উদ্দেশ্যে পুঁজিবাজার থেকে টাকা উত্তোলন করেছে তা যথাযথভাবে ব্যবহার নিশ্চিত করেনি। ফলে তাদের আর্থিক কোনো অগ্রগতি হয়নি, বরং বিনিয়োগকারীরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।’

উদ্যোক্তাদের শেয়ার বিক্রি ইস্যু

পুঁজিবাজারে লেনদেনযোগ্য কম শেয়ার থাকায় গত সেপ্টেম্বরে তিন কোম্পানিকে উদ্যোক্তা পরিচালকদের কাছে থাকা শেয়ার বিক্রি করে শেয়ার সংখ্যা বাড়াতে চাপ দেয় বিএসইসি। এর মধ্যে একটি ছিল ওয়ালটন।

প্রথম দিকে কোম্পানিগুলোকে প্রতি মাসে ১০ শতাংশ শেয়ার ছাড়তে বলা হয়। পরে আগামী তিন বছরে উদ্যোক্তা পরিচালকদের কাছে থাকা শেয়ার থেকে পর্যায়ক্রমে ১ কোটি ২০ লাখ ৮৯ হাজার শেয়ার ছাড়ার কথা জানানো হয়। এতে লেনদেনযোগ্য শেয়ার দশমিক ৯৭ শতাংশ থেকে বেড়ে হবে ৫ শতাংশ।

১০ শতাংশ শেয়ার ছাড়ার শর্ত বাস্তবায়নে বাকি ৫ শতাংশ শেয়ার কবে ছাড়া হবে তা তিন বছর পর আবারও বৈঠক করে সময় নির্ধারণ করা হবে বলে জানানো হয়।

এমন সিদ্ধান্ত আসার এক মাসেও ওয়ালটনের পক্ষ থেকে শেয়ার বিক্রির ঘোষণা আসেনি।

এ বিভাগের আরো খবর