একাধিক মামলার আসামি ফরিদপুর যুবলীগের বহিষ্কৃত নেতা এইচ এম ফুয়াদকে দুই দিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছে আদালত।
একটি হত্যা মামলায় তাকে ১০ দিনের রিমান্ডে পেতে ফুয়াদকে ফরিদপুরের ১ নম্বর আমলি আদালতে বুধবার বিকালে তোলা হয়। বিচারক তাকে দুই দিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছেন।
কোতয়ালি থানার পরিদর্শক (তদন্ত) গফ্ফার হোসেন এই তথ্য নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেছেন।
ফুয়াদ স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের সাবেক মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেনের এপিএস ছিলেন।
রাজধানীর বসুন্ধরা এলাকা থেকে মঙ্গলবার রাতে ফুয়াদকে আটক করে ফরিদপুরে নেয়া হয়। তাকে ২০১৫ সালের ১৫ জুন ফরিদপুর বাসস্ট্যান্ডে ছোটন হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে বুধবার জেলা পুলিশ সুপার মো. আলিমুজ্জামান জানান, আওয়ামী লীগের সভাপতি সুবল চন্দ্র সাহার বাড়ি ভাঙচুরের মামলায় সাবেক স্থানীয় সরকার মন্ত্রীর এপিএস এইচ এম ফুয়াদকে আটক করা হয়।
এই পুলিশ কর্মকর্তা জানান, ফুয়াদ দীর্ঘদিন আত্মগোপনে ছিলেন। তাকে ধরতে পুলিশ দেশের বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে আসছিল। ফুয়াদকে ২০১৫ সালের ১৫ জুন ফরিদপুর বাসস্ট্যান্ডে ছোটন হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। বুধবারই তাকে আদালতে তোলে ১০ দিনের রিমান্ড চাওয়া হবে।
পুলিশ সুপার আলিমুজ্জামান জানান, ফুয়াদের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং, হত্যাসহ মোট আটটি মামলা রয়েছে। এর মধ্যে সাতটি মামলায় অভিযোগপত্র দায়ের করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘এইচ এম ফুয়াদ দীর্ঘ প্রায় ১০ বছর যাবৎ হাতুড়িবাহিনী, হেলমেটবাহিনী গঠন করে চাঁদাবাজি, পাসপোর্ট অফিস, বিভিন্ন হাট-বাজার ইজারা নিয়ন্ত্রণ ভূমি দখল করে অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন।’
ফুয়াদ ছিলেন ফরিদুর জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক।
গত বছরের ১৬ মে রাতে বাড়িতে হামলার ঘটনায় ১৮ মে কোতয়ালি থানায় অজ্ঞাতপরিচয়দের আসামি করে মামলা করেন ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট সুবল চন্দ্র সাহা।
ওই মামলায় সে বছরের ৬ জুন রাতে বিশেষ অভিযান চালিয়ে শহর আওয়ামী লীগের তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন বরকত ও তার ভাই ইমতিয়াজ হাসান রুবেলসহ ৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তখন আত্মগোপনে যান ফুয়াদ।
এরপর ২৬ জুন মানি লন্ডারিং আইনে ঢাকার কাফরুল থানায় একটি মামলা করে সিআইডি। তাতেও আসামি করা হয় ফুয়াদকে।