কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে ইদ্রিস আলী নামে ৭৫ বছর বয়সী এক বৃদ্ধের আত্মহত্যা নিয়ে আলোচনা চলছে।
মঙ্গলবার সকালে উপজেলার প্রাগপুর ইউনিয়নের মহিষকুন্ডি হাতিশালা মোড় এলাকায় নিজের বাড়িতেই ইদ্রিস আত্মহননের পথ বেছে নেন। ঘটনার পর বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রচার হয়, তিনি ক্ষুধার জ্বালায় আত্মহত্যা করেছেন।
তবে এ নিয়ে স্থানীয় প্রশাসন ও জনসাধারণের কাছ থেকে ভিন্ন তথ্য পাওয়া যাচ্ছে।
এলাকাবাসী ও পুলিশ জানায়, ইদ্রিস নিজ ঘরের বারান্দায় বাঁশের সঙ্গে গলায় দড়ি পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেন।
ইদ্রিস আলী একই এলাকার মৃত আব্দুর রহমানের ছেলে।
প্রাগপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আশরাফুজ্জামান মুকুল বলেন, ‘ক্ষুধার জ্বালায় আত্মহত্যা করেছেন, এ বিষয়টি সঠিক নয়।’
৫ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার মো. আলাউদ্দিন বলেন, ‘ইদ্রিস গরিব মানুষ। তবে ক্ষুধার জ্বালায় আত্মহত্যা করেছেন, এমন কোনো প্রমাণ আমরা পাইনি। পারিবারিক গোলযোগ ছিল তার। ১২ বছর আগে তার স্ত্রী মারা যায়। একমাত্র ছেলে সিদ্দিক দিনমজুর। বাড়িতে থাকেন না।
‘ইদ্রিসের মেয়েও মারা গেছেন অনেক বছর আগে। মেয়ের এক সন্তান আছে। ইদ্রিস আলীর সঙ্গে তার পূত্রবধূ শাকিলার বনিবনা হতো না। ১১ শতক জমিও ছিল তার। সেই জমি নিয়েও পারিবারিক দ্বন্দ্ব ছিল।’
আলাউদ্দিন মেম্বার জানান, ইদ্রিস আলী দিনমজুরি করতেন। তবে অসুস্থ থাকায় বেশ কিছুদিন কাজে যেতে পারেননি।
ইদ্রিস আলীর পুত্রবধূ শাকিলা বলেন, রাতে খাবার খেয়েই ঘুমাতে যান। সে ক্ষেত্রে ক্ষুধার জ্বালায় মরার কথা ঠিক নয়।
আর ছেলে সিদ্দিক বলেন, ‘আমি বাড়ি থাকি না। কী ঘটেছে বলতে পারছি না।’
এ বিষয়ে দৌলতপুর থানার ওসি নাসির উদ্দিন বলেন, ‘মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ছয়টার দিকে উপজেলার মহিষকুন্ডি এলাকা থেকে ৭৫ বছর বয়সী এক বৃদ্ধের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তাদের অভাব ছিল। কিন্তু ক্ষুধার জ্বালায় মরার তথ্যপ্রমাণ পাইনি। এ বিষয় নিয়ে তদন্ত চলছে।’
ওসি আরও বলেন, মা মরা নাতনিকে মারধর করা নিয়ে পুত্রবধূর সঙ্গে ঝগড়া হয় ইদ্রিস আলীর। সেই অভিমানে আত্মহত্যা করতে পারেন।