নরসিংদীর যুব মহিলা লীগের বহিষ্কৃত সাধারণ সম্পাদক শামীমা নূর পাপিয়া ও তার স্বামী মফিজুর রহমান সুমনসহ চারজনের জাল টাকা উদ্ধারের ঘটনায় করা বিমানবন্দর থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলায় বিচার শুরু হয়েছে।
বুধবার পাপিয়া দম্পতি এবং তাদের দুই সহযোগী সাব্বির খন্দকার ও শেখ তায়িবা নূরের বিরুদ্ধে ওই মামলায় অভিযোগ গঠন করেছে আদালত।
এর মধ্য দিয়ে মামলাটিতে আসামিদের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু হলো।
ঢাকার মহানগর বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-৬ এর বিচারক ফাতেমা ফেরদৌস আসামিদের অব্যাহতির আবেদন নাকচ করে অভিযোগ গঠনের আদেশ দেন।
সে সঙ্গে আদালত আগামী ২১ নভেম্বর সাক্ষ্য গ্রহণের তারিখ দিয়েছে বলে জানান পাপিয়া দম্পতির আইনজীবী শাখাওয়াত উল্যাহ ভূঁইয়া।
এদিন অভিযোগ গঠন শুনানির আগে আসামিদের আদালতে হাজির করা হয়। আসামিদের পক্ষে তাদের আইনজীবীরা অব্যাহতি চেয়ে শুনানি করেন। রাষ্ট্রপক্ষ থেকে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের আবেদন করা হয়।
উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত আসামিদের কাছে জানতে চায়, তারা দোষী না নির্দোষ। আসামিরা নিজেদের নির্দোষ দাবি করে ন্যায় বিচার চান।
পরে আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের আদেশ দেয়।
গত ২২ আগস্ট দেশি জাল টাকা উদ্ধারের ঘটনায় বিশেষ ক্ষমতা আইনের আরও একটি মামলায় অভিযোগ গঠন করেন আদালত।
গত বছর ২৯ নভেম্বর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা র্যাব-১ এর সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার নজমুল হক চার আসামিকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দেন।
২০১৯ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে জাল টাকা বহন ও অবৈধ টাকা পাচারের অভিযোগে পাপিয়াসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করে র্যাব।
তাদের কাছ থেকে সাতটি পাসপোর্ট, বাংলাদেশি ২ লাখ ১২ হাজার ২৭০ টাকা, ২৫ হাজার ৬০০ জাল টাকা, ৩১০ ভারতীয় রুপি, ৪২০ শ্রীলঙ্কান মুদ্রা, ১১ হাজার ৯১ মার্কিন ডলার ও সাতটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।
পরের দিন পাপিয়ার ইন্দিরা রোডের বাসায় অভিযান চালিয়ে একটি বিদেশি পিস্তল, দুটি ম্যাগাজিন, ২০ রাউন্ড গুলি, ৫ বোতল বিদেশি মদ, ৫৮ লাখ ৪১ হাজার টাকা, পাঁচটি পাসপোর্ট, তিনটি চেক, বেশ কিছু বিদেশি মুদ্রা ও বিভিন্ন ব্যাংকের ১০টি এটিএম কার্ড উদ্ধার করা হয়।
ওই ঘটনায় পাপিয়া ও তার স্বামীর বিরুদ্ধে পাঁচটি মামলা করা হয়। গত বছর ২৩ ফেব্রুয়ারি বিমানবন্দর থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলাটি করেন র্যাব-১ এর সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার সফিকুল ইসলাম।
গত বছরের ১২ অক্টোবর পাপিয়া ও তার স্বামী মফিজুর রহমান ওরফে সুমন চৌধুরীকে অস্ত্র মামলায় ২০ বছর কারাদণ্ড দেয় আদালত।