ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ (ঢাবি) বিভিন্ন উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি, বিসিএস, ব্যাংক ও বিভিন্ন সংস্থার নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস এবং জালিয়াতির অভিযোগে ঢাবির ৮৭ শিক্ষার্থীসহ ১২৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা বিচারের জন্য প্রস্তত।
বিচারের জন্য প্রস্তুত নথি বুধবার ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) বরাবর প্রেরণের আদেশ দিয়েছেন ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্যমহানগর হাকিম আবুবকর ছিদ্দিক।
বিষয়টি নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেন সিএমএম-এর প্রশাসনিক কর্মকর্তা মাহবুবুল আলম। তিনি জানান, মামলাটির বিচারকার্যক্রম সিএমএমেই হবে নাকি অন্য কোনো আদালতে পাঠানো হবে তা নির্ধারণ করে সিএমএম পরবর্তী আদেশ দেবে।
২০১৮ সালের ২০ অক্টোবর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘ঘ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার আগের রাতে প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদুল্লাহ হল থেকে ছাত্রলীগের সেসময়ের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সম্পাদক মহিউদ্দিন রানা ও আবদুল্লাহ আল মামুনকে গ্রেপ্তার করে সিআইডি।
পরদিন তাদের বিরুদ্ধে শাহবাগ থানায় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনে এবং পাবলিক পরীক্ষা আইনের সংশ্লিষ্ট ধারায় মামলা করে পুলিশের বিশেষায়িত সংস্থাটি।
২০১৯ সালের ২৩ জুন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির সিনিয়র এএসপি সুমন কুমার দাস তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনে একটি এবং পাবলিক পরীক্ষা আইনে আরেকটি অভিযোগপত্র আদালতে জমা দেন। অভিযোগপত্রে আসামি করা হয় ১২৫ জনকে। এর মধ্যে ৮৭ জনই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী।
এর মধ্যে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনে করা মামলাটি ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালে বিচারাধীন আছে।
আসামিদের মধ্যে ৪৬ জন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। তাদের অনেকেই গ্রেপ্তার হওয়ার পর জামিনে ছাড়া পেয়েছেন।
তদন্তকালে আসামিদের নামে ২০ কোটি টাকার সন্ধান পেয়েছে সিআইডি। তাদের এসব স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ বাজেয়াপ্ত করতে উত্তরা পশ্চিম থানায় মানি লন্ডারিং আইনে আরেকটি মামলা করেছে সিআইডি।
ডিজিটাল জালিয়াতি ও অবৈধ পন্থায় ভর্তি হওয়ার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ দফায় দফায় বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থীকে স্থায়ী বহিস্কার করেছে।