বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

৫০ মামলায় ৭০ শিশুর মুক্তি

  •    
  • ১৩ অক্টোবর, ২০২১ ১৫:৩৫

সুনামগঞ্জ জেলা প্রবেশন কর্মকর্তা শফিউর রহমান বলেন, ‘প্রতিদিন দুটি ভালো কাজ করা এবং সেগুলো ডায়েরিতে লিপিবদ্ধসহ ৬টি শর্তে ৭০ শিশুকে বাবা-মায়ের জিম্মায় মুক্তি দেয়া হয়েছে। আগামী এক বছর তারা সবাই আমার পর্যবেক্ষণে থাকবে। বছর শেষে তাদের ডায়েরিটি আদালতে জমা দেয়ারও নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।’

সুনামগঞ্জে ৫০টি মামলায় ৭০ শিশুকে ছয়টি শর্তে মুক্তি দিয়েছে আদালত।

সুনামগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল ও শিশু আদালতের বিচারক জাকির হোসেন বুধবার দুপুর ১২টার দিকে এ রায় দেন।

আদালত সূত্রে জানা যায়, ছোট অপরাধে ৫০টি মামলায় ৭০ জন শিশুকে সংশোধনের সুযোগ দিয়ে বাবা-মায়ের জিম্মায় দেয়া হয়। কোমলমতি এসব শিশুকে পরিবারের অন্য সদস্যদের মামলায় জড়ানো হয়েছিল। এসব মামলায় শিশুদের দিনের পর দিন আদালতে হাজিরা দিতে হতো। এতে এই শিশুদের প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যাহত হওয়ার পাশাপাশি ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়ছিল।

তাই এসব শিশুর স্বাভাবিক জীবন ফিরিয়ে দিতে দ্রুত মামলাগুলো নিষ্পত্তি করে দেন বিচারক। এ সময় বিচারক প্রত্যেক শিশুকে একটি করে ফুল ও একটি ডায়েরি দেন।

সুনামগঞ্জ জেলা প্রবেশন কর্মকর্তা শফিউর রহমান বলেন, যে ৬টি শর্তে ৭০ শিশুকে বাবা-মায়ের জিম্মায় মুক্তি দেয়া হয়েছে সেগুলো হলো:

ক) প্রতিদিন দুটি ভালো কাজ করা এবং সেগুলো ডায়েরিতে লিপিবদ্ধ করা।

খ) বাবা-মা ও গুরুজনের আদেশ-নির্দেশ মেনে চলা।

গ) বাবা-মায়ের সেবাযত্ন করা ও তাদের কাজে সাহায্য করা।

ঘ) নিয়মিত ধর্মগ্রন্থ পাঠ করা ও ধর্মকর্ম পালন করা।

ঙ) অসৎ সঙ্গ ত্যাগ করা ও মাদক থেকে দূরে থাকা এবং

চ) ভবিষ্যতে কোনো অপরাধে নিজেকে না জড়ানো।

এ ছাড়া আগামী এক বছর তারা সবাই আমার পর্যবেক্ষণে থাকবে। বছর শেষে তাদের ডায়েরিটি আদালতে জমা দেয়ারও নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।

শহরের আরপিন নগর এলাকার বাসিন্দা মানিক মিয়ার ছেলে সুজন মিয়া মামলা থেকে মুক্তি পেয়েছে।

সুজন বলে, ‘আদালতকে ধন্যবাদ ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে আমাদের সংশোধনের সুযোগ দিয়েছে। আমরা আদালতের দেয়া শর্তগুলো মেনে চলব এবং কখনো বাবা-মাকে কষ্ট দিয়ে কোনো কাজ করব না।’

দোয়ারাবাজার উপজেলার ফরমান আলীর ছেলে পারভেজ আলম বলে, ‘পরিবারের মামলায় আমার নাম দেয়া হয়। এর কারণে আমাকে প্রতিনিয়ত আদালতে এসে হাজিরা দিতে হতো। তবে আদালত আজকে আমাদের যে রায় দিল, তার জন্য আমি কৃতজ্ঞ। আমি আদালতের সব আদেশ-নিষেধ মেনে চলব।’

আদালতের এমন রায়ে খুশি অভিভাবকরা।

ছাতক উপজেলার দিঘলী চাকলপাড়া গ্রামের মাসুক আলী বলেন, ‘ঘরের ছোটখাটো মামলায় আমার ছেলের নাম দেয়া হয়েছিল। আদালতের আজকের এ রায়ে আমরা খুশি।’

এ ব্যাপারে সুনামগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের শিশু ও মানব পাচার ট্রাইব্যুনালের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী হাসান মোহাম্মদ সাদি বলেন, ‘বিচারক জাকির হোসেন যে রায় দিয়েছেন, তা সত্যিই প্রশংসনীয়। এ রায়ের মাধ্যমে সহজ শর্তে শিশুরা মুক্তি পেয়েছে। এতে শিশুদের ভবিষ্যৎ আলোকিত হবে।’

এ বিভাগের আরো খবর