বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

জেল-জরিমানা করেও ঠেকানো যাচ্ছে না ইলিশ শিকার

  •    
  • ১৩ অক্টোবর, ২০২১ ১৫:২২

বুদ্দু মিয়া নামে এক জেলে বলেন, ‘মাছ ধরা আমাগো কাজ। মাছ না ধরলে আমগো ভালো লাগে না। আর নদীতে তো এহন অনেক মাছ। মনে হয় পানিতে নামলেই মাছ ধরি।’

মানিকগঞ্জে প্রশাসনের নজরদারি ও অভিযানের পরও মা ইলিশ শিকার বন্ধ করা যাচ্ছে না। জেল-জরিমানার পরও নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইলিশ শিকার করছেন অনেক জেলে।

জেলা মৎস্য কার্যালয় থেকে জানা যায়, গত ৪ অক্টোবর মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা কার্যকরের পর থেকে ১২ অক্টোবর পর্যন্ত মানিকগঞ্জে ১২১টি অভিযান ও ২৬টি ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে মামলা হয়েছে ৫২টি। এসব অভিযানে ২৫ জনকে কারাদণ্ড, ২৬ জনকে জরিমানার পাশাপাশি নষ্ট করা হয়েছে ১৪টি নৌকা।

জব্দ করা হয়েছে ১ লাখ ১৬ হাজার ৫০০ মিটার কারেন্ট জাল এবং ৭৬০ কেজি ইলিশ। তবে এর পরও বন্ধ হয়নি মা মাছ শিকার।

স্থানীয়রা জানান, মানিকগঞ্জের সাতটি উপজেলার মধ্যে দৌলতপুর, শিবালয় ও হরিরামপুরে রয়েছে পদ্মা ও যমুনা নদী। সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে নদীর বিভিন্ন জায়গায় প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে রাতে ও দিনে মা ইলিশ শিকার করছেন কিছু জেলে। প্রশাসনের লোকজন দেখলে তারা নৌকা নিয়ে, আবার কখনও রেখেই পালিয়ে যান।

পাবনার বুদ্দু মিয়া নামে এক জেলে বলেন, ‘মাছ ধরা আমাগো কাজ। মাছ না ধরলে আমগো ভালো লাগে না। আর নদীতে তো এহন অনেক মাছ। মনে হয় পানিতে নামলেই মাছ ধরি।’

জরিমানা দেয়া একাধিক জেলে জানান, নদীতে এখন প্রচুর মাছ। পানির দিকে তাকালেই তারা মাছ দেখতে পান। এ জন্য জেল-জরিমানার ভয় নিয়েও মাছ ধরছেন। প্রশাসনের লোকজন দেখলে তারা পালান। চলে গেলে আবার মাছ ধরেন।

দৌলতপুর উপজেলা মৎস্য সম্প্রসারণ কর্মকর্তা রনি সাহা বলেন, ‘আমাদের লোকবল অনেক কম। যদি লোকবল থাকত, তাহলে শতভাগ কাজ করা যেত। তারপরও আমরা দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছি।

‘তা ছাড়া এ সময়ে ইলিশের দাম বেশি হওয়ায় জেলেরা ঝুঁকি নিয়েই মাছ শিকার করে। কারণ একটা মাছ ধরতে পারলে বেশি দামে বিক্রি করতে পারে।’

শিবালয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জেসমিন সুলতানা বলেন, ‘পদ্মা-যমুনায় এখন প্রচুর ইলিশ। লোভের কারণে মূলত জেলেরা ইলিশ শিকার করছেন।’

জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. সাইফুর রহমান বলেন, ‘জেলেরা যাতে ইলিশ শিকার করতে না পারে, সে বিষয়ে উপজেলা প্রশাসন কাজ করছে। আমাদের মৎস্য অফিসাররা নিয়মিত অভিযান চালাচ্ছেন। এ ছাড়া রাত ও দিনে নদীতে টহল ও অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। আমরা আমাদের সাধ্যমতো কাজ করে যাচ্ছি।’

এ বিভাগের আরো খবর