মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে ঢাকাই চলচ্চিত্রের আলোচিত নায়িকা পরীমনিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র নিয়েছে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম (সিএমএম) আদালত। বিচারের জন্য মামলাটি ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে পাঠানো হয়েছে।
আদালতে গুলশান থানার সাধারণ নিবন্ধন শাখার কর্মকর্তা, উপপরিদর্শক (এসআই) আলমগীর হোসেন বুধবার নিউজবাংলাকে বিষয়টি জানিয়েছেন।
তিনি জানান, মঙ্গলবার মামলাটি গুলশান থানার সাধারণ নিবন্ধন শাখা থেকে মহানগর দায়রা জজ আদালতে পাঠানো হয়েছে।
গত ১০ অক্টোবর ঢাকার মহানগর হাকিম সত্যব্রত সিকদারের আদালতে মামলাটির তদন্ত প্রতিবেদনের জন্য তারিখ ঠিক করা ছিল। ওই দিন বিচারক মামলাটি মহানগর দায়রা জজ আদালতে বদলির আদেশ দেন।
মামলার অন্য আসামি পরীমনির সহযোগী আশরাফুল ইসলাম দীপু আগে থেকেই স্থায়ী জামিনে ছিলেন। তিনি ওই দিন তার আইনজীবী শিকদার মুহাম্মাদ আখতারুজ্জামান হিমেলের মাধ্যমে আদালতে হাজিরা দেন।
এর আগে গত ৩১ আগস্ট ঢাকা মহানগর আদালতের দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশ তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে জমা দেয়ার মেয়াদ পর্যন্ত পরীমনিকে জামিন দেন।
গত ৪ অক্টোবর পরীমনি, আশরাফুল ইসলাম দীপু ও কবির হোসেনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র জমা দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও সিআইডির পরিদর্শক কাজী মোস্তফা কামাল।
২২ আগস্ট কে এম ইমরুল কায়েশের আদালতেই পরীমনির জামিন আবেদন করেছিলেন তার আইনজীবী মজিবুর রহমান ও নিলাঞ্জনা রিফাত সুরভী। তখন আদালত ১৩ সেপ্টেম্বর জামিন শুনানির জন্য তারিখ ঠিক করেছিল।
এত লম্বা সময় পর শুনানির তারিখ ঠিক করায় পরীমনির আইনজীবীরা হাইকোর্টে যান। হাইকোর্টের এক আদেশে মামলাটির জামিন শুনানির তারিখ এগিয়ে আনা হয়।
হাইকোর্টের নির্দেশে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশ জামিন শুনানির দিন এগিয়ে এনে ৩১ আগস্ট ঠিক করেন।
ওই দিন প্রায় ৪০ মিনিটের শুনানি শেষে পরীমনিকে জামিনে মুক্তির আদেশ দেন বিচারক।
গত ৪ আগস্ট প্রায় চার ঘণ্টার অভিযান শেষে বনানীর বাসা থেকে পরীমনি ও তার সহযোগী দীপুকে আটক করে র্যাব। এ সময় পরীমনির বাসায় বিভিন্ন ধরনের মাদক পাওয়া যায় বলে জানায় বাহিনীটি।
পরের দিন ৫ আগস্ট র্যাব বাদী হয়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে পরীমনি ও তার সহযোগীর বিরুদ্ধে বনানী থানায় মামলা করে।