বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

মানবসৃষ্ট দুর্যোগে ভাবনায় সরকার

  •    
  • ১৩ অক্টোবর, ২০২১ ০৮:১৭

দুর্যোগ প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমান বলেন, অগ্নিকাণ্ডসহ মানবসৃষ্ট দুর্যোগে অনুসন্ধান ও উদ্ধার তৎপরতার জন্য ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ২২০ কোটি টাকার যন্ত্রপাতি কেনা হয়েছে। সেগুলো ফায়ার সার্ভিস, সেনাবাহিনী ও সিটি করপোরেশনগুলোকে দেয়া হয়েছে। দুর্যোগ মোকাবিলায় সক্ষমতা বাড়াতে মন্ত্রণালয়কে আরও ২ হাজার ২৭২ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।

প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় আগের চেয়ে বেশি সক্ষমতা অর্জন করেছে বাংলাদেশ। তবে মানবসৃষ্ট দুর্যোগে সফলতা মেলেনি সেভাবে। তাই সরকারের নজর এখন মানবসৃষ্ট দুর্যোগের ক্ষয়ক্ষতি ও প্রাণহানি কমানোতে।

আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস আজ। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসে, কাজ করি একসাথে’। বিশ্বের অনেক দেশের মতো বাংলাদেশেও পালন করা হচ্ছে দিবসটি।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয় বলছে, সরকারের পূর্ব প্রস্তুতির কারণে সাম্প্রতিক ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াশ’, ‘ফণী বা মহাসেন’ এর মতো সুপার সাইক্লোনের সময় যে ব্যাপক প্রাণহানির শঙ্কা ছিল, তা প্রশমন করা গেছে সহজেই। এটিকে বড় সাফল্য হিসেবে মনে করা হচ্ছে।

প্রাকৃতিক এসব দুর্যোগে ক্ষয়ক্ষতি কমাতে সরকার নানা উদ্যোগ নিয়েছে। যার মধ্যে উপকূলীয় এলাকায় তৈরি করা হয়েছে ৩২০টি বহুমুখী ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র। এ বছরই চালু করা হয়েছে ১১০টি। এসব আশ্রয়কেন্দ্রে ২ লাখ ৫৬ হাজার মানুষ ও প্রায় ৪৪ হাজার গবাদিপশু আশ্রয় নিতে পারবে। একই সঙ্গে উপকূলীয় এলাকার স্কুল-মাদ্রাসা ভবনগুলোকেও আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহারের সুযোগ রাখা হয়েছে।

উপকূলীয় ও বন্যা উপদ্রুত ১৪৮টি উপজেলায় তৈরি করা হয়েছে ৫৫০টি ‘মুজিব কেল্লা’। এসব কেল্লায় দুর্যোগে আশ্রয় নেয়ার পাশাপাশি স্বাভাবিক সময়ে খেলার মাঠ বা হাটবাজার হিসেবেও তা ব্যবহার করা যাবে।

বন্যাপ্রবণ এলাকার জন্য তৈরি করা হয়েছে ২৩০টি দ্বিতল বন্যা আশ্রয়কেন্দ্র। এগুলোতে প্রায় ৯২ হাজার মানুষ ও ২৩ হাজার গবাদিপশু আশ্রয় নিতে পারবে। আগামী বছরের মধ্যে এ সংখ্যা ৪২৩-এ উন্নীত করতে চায় সরকার। বন্যাদুর্গত ১৯টি জেলায় উদ্ধারকাজ চালানোর জন্য ৬০টি মাল্টিপারপাস এক্সেসিবল রেস্কিউ বোট সরবরাহ করা হচ্ছে।

আগে ১৫টি বিপর্যয়কে প্রাকৃতিক দুর্যোগ হিসেবে বিবেচনা করা হলেও সম্প্রতি ঘূর্ণিঝড়, জলোচ্ছ্বাস, বন্যা, নদীভাঙন, নদীধস, খরা ও ভূমিকম্পের পাশাপাশি এই তালিকায় যুক্ত করা হয়েছে বজ্রপাতকেও।

নতুন ভাবনা এখন মানবসৃষ্ট দুর্যোগ মোকাবিলা। সেদিকে জোর দেয়ার কথা জানিয়ে দুর্যোগ প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমান বলেন, ‘অগ্নিকাণ্ডসহ এ ধরনের দুর্যোগে অনুসন্ধান ও উদ্ধার তৎপরতার জন্য ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ২২০ কোটি টাকার যন্ত্রপাতি কেনা হয়েছে। সেগুলো ফায়ার সার্ভিস, সেনাবাহিনী ও সিটি করপোরেশনগুলোকে দেয়া হয়েছে।

‘এখন আমাদের অনেক এরিয়াল প্ল্যাটফর্ম ল্যাডার আছে, যেগুলো ২০ তলা পর্যন্ত অগ্নিনির্বাপণ করতে সক্ষম। টু হুইলার অগ্নিনির্বাপণ ভ্যাহিকেল ও ছোট জিপ এসেছে, যেগুলো পুরান ঢাকার মতো অলিগলিতে অগ্নিনির্বাপণ করতে পারে।’

দুর্যোগ প্রতিমন্ত্রী জানান, সক্ষমতা বৃদ্ধি করতে মন্ত্রণালয়কে আরও ২ হাজার ২৭২ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, ‘এর মধ্যে ১৫০ কোটি টাকা আমরা পেয়েছি, যা দিয়ে অনেকগুলো ল্যাডার কেনার প্রস্তুতি নিয়েছি। ইতোমধ্যে ৪৫৬টি ফায়ার সার্ভিস স্টেশন করা হয়েছে, এটাকে ৫৫০টি করতে প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।

‘ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের কর্মীদের আরও দক্ষ করতে বঙ্গবন্ধু ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স একাডেমি নামে একটি একাডেমি করতে মুন্সিগঞ্জে ১০০ একর জায়গা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।’

প্রতিমন্ত্রী এনামুর বলেন, ‘সব দুর্যোগ মোকাবিলায় আমরা সফলতা অর্জন করেছি, কিন্তু ভূমিকম্পে আমরা এখনও সে রকম সফলতা পাইনি। তবে ন্যাশনাল বিল্ডিং কোড তৈরি করেছে সরকার। এই বিল্ডিং কোড মেনে যদি আগামীতে ভবন তৈরি করা হয়, তাহলে সেগুলো ভূমিকম্প-সহনীয় হবে।

‘অনেক পুরোনো যেসব ভবন রয়েছে, সেগুলোকে ভূমিকম্প-সহনীয় করতে আমরা জাইকার সঙ্গে একটি সমঝোতায় এসেছি। ৫০ বছর মেয়াদি কর্মসূচি গ্রহণ করেছি আমরা। বেশি পুরোনো ভবন আমরা ডিমিলিশ করে কোড অনুযায়ী নতুন করে ভবন করে দেব।’

এ বিভাগের আরো খবর