কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলায় দুর্গাপূজা উপলক্ষে হতদরিদ্রদের দেয়া পচা পণ্য পাল্টে দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএন) মাহবুবুর রহমান মঙ্গলবার দুপুরে পচা পণ্য পাওয়া ৩৮ হতদরিদ্রের হাতে নতুন খাদ্য সহায়তা তুলে দেন।
সনাতন ধর্মাবলম্বী দরিদ্রদের মধ্যে সোমবার এসব ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করেছিল উপজেলা প্রশাসন। তবে তাতে পচা আলু, চালসহ অন্যান্য পণ্য নিম্নমানের হওয়ায় ভানু রাম দাশ ও লাল চরণ নামে দুজন ইউএনওর কার্যালয়ে গিয়ে ফেরত দিয়ে আসেন।
এ ঘটনা প্রকাশ পেলে শুরু হয় সমালোচনা। পরে উপজেলা চেয়ারম্যান শওকত আলী সরকার বীর বিক্রম ঘটনার সত্যতা পেয়ে ত্রাণের মান যাচাই করে তা বিতরণের নির্দেশ দেন।
এ বিষয়ে ইউএনও মাহবুবুর রহমান জানান, সহযোগিতার সব প্যাকেটে সমস্যা ছিল না। বিতরণ করা ত্রাণসামগ্রীর মধ্যে ৩৩৩ নম্বরে ফোন দেয়া সুবিধাভোগীদের জন্য রাখা ৩৮টি প্যাকেট ছিল। সেখানে থাকা আলুগুলো কিছুদিন আগে প্যাকেট হওয়ায় পচে যায়।
সেগুলো পরিবর্তন করে ৩৮ জনকে ত্রাণ সহায়তায় দেয়া হয়েছে। অন্য সুবিধাভোগীদের ত্রাণের প্যাকেট নিয়ে অভিযোগ ছিল না।
উপজেলার রানীগঞ্জ ইউনিয়নের সুবিধাভোগী ভানু রাম দাশ বলেন, ‘ভালো রিলিপ পায়া মুই খুশি হইছং। টিএনও স্যার মোক রিকশা ভাড়াও দিছে। মুই ওমাক আশীর্বাদ করং, সবাই ভালো থাকুক।’
থানাহাট ইউনিয়নের মজাইগডাঙ্গা গ্রামের সুনিত্রা রানী বলেন, ‘হামার রিলিপের চালগুলো লাল ছিল, আলু মোটামুটি চলে। আর সোয়াবিন তেলের বদলে পামওয়েল তেল দেছিল।’
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, উপজেলায় এ বছর ৩২টি মণ্ডপে দুর্গাপূজা উদযাপন হচ্ছে। এ উপলক্ষে হতদরিদ্র হিন্দু পরিবারের মাঝে রাজস্ব খাতের টাকায় চাল, ডাল, তেল, আলুসহ বিভিন্ন সামগ্রী দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয় উপজেলা প্রশাসন।
সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, সোমবার উপজেলা পরিষদের হলরুমে ১৬০ পরিবারের মধ্যে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করা হয়। সেই প্যাকেটগুলোর মধ্যে বেশ কয়েকটিতে পাওয়া যায় পচা ও নিম্নমানের সামগ্রী।