রাজধানীর হাজারীবাগে থাকতেন মনির হোসেন মোল্লা ও তার স্ত্রী। মঙ্গলবার সকালে একসঙ্গে কাজে বেরুলেও দুপুরে স্ত্রী বাসায় ফিরে দেখেন স্বামী ঘরের ফ্যানের সঙ্গে ঝুলছেন।
দরজা ভেঙে অচেতন অবস্থায় মনির মোল্লাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
নিহতের পঞ্চম স্ত্রী শিল্পী বেগম জানান, তারা নিঃসন্তান। থাকতেন হাজারীবাগের মধুবাজারে।
শিল্পী বেগম বলেন, ‘আমি তার ছোট স্ত্রী। সে আমার সঙ্গেই থাকত। গত সপ্তাহে আমার সঙ্গে তার ঝগড়া হয়। কিন্তু কাল আবার আমরা একসঙ্গে ছিলাম।’
তিনি জানান, তার স্বামী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের এক চিকিৎসকের গাড়ি চালাতেন। সকালে দুজনে একসঙ্গে কাজে বের হন। সকাল ১১টার দিকে শিল্পী বেগমকে তার কর্মস্থলে পৌঁছে দেয়।
কাজ শেষ করে ১টার দিকে বাসায় ফিরে দেখেন দরজা ভেতর থেকে বন্ধ। অনেক ডেকেও সাড়া আসে না। এমন সময় বেড়ার ফাঁক দিয়ে দেখতে পান স্বামী ফ্যানের সঙ্গে ঝুলছেন। তখন আশপাশের লোকজনকে ডেকে দরজা ভেঙে তাকে হাসপাতালে নেন।
ঢাকা মেডিক্যালে আহাজারির করতে করতে শিল্পী বেগম বলেন, ‘স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কত ঝগড়া-বিবাদ হয়, এ জন্য ফাঁসি দিতে হবে কেন। কেনই বা সে গলায় ফাঁস দিল?
মনিরের বাড়ি পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলার পুইট্টা কাঠি গ্রামে।
ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (এএসআই) আব্দুল্লাহ খান জানান, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিক্যালের মর্গে রাখা হয়েছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানায় জানানো হয়েছে।