বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

মুসার দাবি, প্রতারণার শিকার তিনি নিজেই

  •    
  • ১২ অক্টোবর, ২০২১ ২১:২১

‘একজন ফ্রড লোক অতিরিক্ত সচিব পরিচয়ে ভুয়া কার্ড ছাপিয়ে আমার অফিসে গিয়েছিল। আমার সঙ্গে বিভিন্ন সময় ছবি তুলেছিল এবং সে মাঝে মাঝে আমার সঙ্গে বসে ঊর্ধ্বতন লোকদের সঙ্গে কথা বলতেন। আইজিপি, আর্মির জেলারেলসহ ঊর্ধ্বতনদের সঙ্গে কথা বলতেন। আমার বিশ্বাস ছিল যে তিনি (আব্দুল কাদের) অতিরিক্ত সচিব। কিন্তু পরে প্রমাণিত হলো, তিনি অতিরিক্ত সচিব না, তিনি একজন ভুয়া অতিরিক্ত সচিব। পরে তাকে বের করে দিলাম আমি।’

ডিবিতে সাড়ে ৩ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আলোচিত মুসা বিন শমসের দাবি করেছেন, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব পরিচয় দেয়া আব্দুল কাদেরের সঙ্গে তার সংশ্লিষ্টতা নেই, তিনি নিজেই প্রতারণার শিকার।

মুসা বলেন, ‘আমিও প্রতারণার শিকার হয়েছি। আমি এই ভুয়া অতিরিক্ত সচিবের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেব। তার বিরুদ্ধে মামলা করব।’

মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টা ৫৫ মিনিটে রাজধানীর মিন্টো রোডে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা কার্যালয় থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।

মুসা বলেন, ‘একজন ফ্রড লোক অতিরিক্ত সচিব পরিচয়ে ভুয়া কার্ড ছাপিয়ে আমার অফিসে গিয়েছিল। আমার সঙ্গে বিভিন্ন সময় ছবি তুলেছিল এবং সে মাঝে মাঝে আমার সঙ্গে বসে ঊর্ধ্বতন লোকদের সঙ্গে কথা বলতেন। আইজিপি, আর্মির জেনারেলসহ ঊর্ধ্বতনদের সঙ্গে কথা বলতেন। আমার বিশ্বাস ছিল যে তিনি (আব্দুল কাদের) অতিরিক্ত সচিব। কিন্তু পরে প্রমাণিত হলো, তিনি অতিরিক্ত সচিব না, তিনি একজন ভুয়া অতিরিক্ত সচিব। পরে তাকে বের করে দিলাম আমি।’

আন্তর্জাতিক অস্ত্র ব্যবসায়ী পরিচয় দেয়া নিজেকে প্রিন্স মুসা নামেও পরিচয় দেন। তিনি নানা সময় বেশ কয়েকজন কথিত দেহরক্ষী নিয়ে প্রকাশ্যে এসেছেন। তবে তিনি ডিবি কার্যালয়ে আসেন স্ত্রী ও ছেলেকে নিয়ে।

খয়েরি রঙের সাদামাটা একটি প্রাইভেট কারে করে আসা মুসা পরেছিলেন কালো রঙের স্যুট। প্রাইভেট কারে কয়েকটি জায়গায় অন্য গাড়ি বা অন্য কিছুর আঁচড়, আঘাতও দেখা গেছে। সেগুলোও মেরামত করা হয়নি।

অতিরিক্ত সচিব পরিচয়ে প্রতারণার অভিযোগে গ্রেপ্তার আব্দুল কাদেরের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ উঠেছে মুসার বিরুদ্ধে। এ অভিযোগেই তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।

ডিবির সঙ্গে কথোপকথনে মুসা তার কথিত সম্পদ নিয়ে নানা বক্তব্য রেখেছেন। তবে তার সঙ্গে কথা বলে গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের মনে হয়েছে, এসব দাবির সবই অসত্য।

সাংবাদিকদেরকে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার হারুন অর রশীদ বলেন, ‘আমার কাছে মনে হয়েছে উনি (মুসা) অন্তঃসারশূন্য। একটা ভুয়া লোক মনে হয়েছে। ওনার কিচ্ছু নাই। তার একটা বাড়ি রয়েছে গুলশানে। সেটাও স্ত্রীর নামে। বাংলাদেশে তার নামে আর কিছু পাই নাই। তবে উনি মুখরোচক গল্প বলেন।’

মুসাকে কী জিজ্ঞাসা করেছেন, জানতে চাইলে হারুন বলেন, ‘ওনাকে আমার কাছে রহস্যময় মানুষ মনে হয়েছে। কাদের নাইন পাস লোক, তাকে উপদেষ্টা বানালেন কেন? ২০ কোটি টাকার চেক দিলেন কেন?

‘উনি (মুসা) বলেছেন লাভ দেবে। কিন্তু উদ্দেশ্য আমরা জানি না। মুসা সাহেব দেখেছেন, কাদের মাঝি বড় বড় লোকের সঙ্গে কথা বলেন। কাদেরের সঙ্গে ওনার অনেক সম্পর্ক রয়েছে। উনি বাবা-সোনা ডাকেন। ছেলের চেয়েও ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক।’

ডিবিতে কী জানতে চেয়েছে, এমন প্রশ্নে মুসা বলেন, ‘ডিবি আমাকে আব্দুল কাদেরের বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে এবং আমি যা যা জানি সবকিছু স্পষ্ট বলেছি। আমার বক্ত্যব্যে ডিবি পুলিশ সন্তুষ্ট। আব্দুল কাদের একজন মিথ্যাবাদী।’

আপনার আইন উপদেষ্টা পরিচয় দিতেন আব্দুল কাদের- এমন মন্তব্যের জবাবে মুসা বলেন, ‘আব্দুল কাদের মিথ্যা কথা বলেছে। তিনি আমার আইন উপদেষ্টা ছিলেন না।’

কাদেরের সঙ্গে তার ছবি প্রসঙ্গে মুসা বলেন, ‘আমার সঙ্গে অনেক লোক এসে ছবি তোলে। কেউ ছবি তুলতে চাইলে আমি তাকে না করতে পারি না। আমার ছবি ছড়িয়ে যদি কেউ প্রতারণা করে সেটার দায়-দায়িত্ব আমি নিতে পারি না।’

আব্দুল কাদেরের সঙ্গে ২০ কোটি টাকার চেক লেনদেনের তথ্যের প্রশ্নে মুসা বলেন, ‘ওটা আমি ফেরত দিয়ে দিয়েছি।’

এ বিভাগের আরো খবর