জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে অক্সিজেন না পেয়ে এক কর্মচারীর মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
মঙ্গলবার বেলা আড়াইটার দিকে ওই ব্যক্তির মৃত্যু হয় বলে নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসক মাসুদুর রহমান।
মৃত ব্যক্তির নাম রামু। ৫৫ বছরের রামু আ ফ ম কামালউদ্দিন হলের চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী ছিলেন।
মৃতের জামাতা সুশীল চন্দ্র নিউজবাংলাকে জানান, দীর্ঘদিন হাঁপানিতে ভুগছিলেন রামু। সোমবার সকালে তার শ্বাসকষ্ট দেখা দিলে বিশ্ববিদ্যালয় চিকিৎসা কেন্দ্রে অক্সিজেন সিলিন্ডার চেয়ে পাঠানো হয়। তবে তা দিতে অস্বীকৃতি জানায় কর্তৃপক্ষ।
এই অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে চিকিৎসা কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা শ্যামল কুমার শীল বলেন, ‘রোগীর অবস্থা গুরুতর ছিল। বিষয়টি সঙ্গে সঙ্গে প্রধান চিকিৎসা কর্মকর্তা শামছুর রহমানকে জানাই। করোনা পরিস্থিতির জন্য তিনি অক্সিজেন সিলিন্ডার দিতে নিষেধ করেন। অনুমতি না থাকায় সিলিন্ডার দিতে পারিনি।’
প্রধান চিকিৎসা কর্মকর্তা শামছুর রহমান বলেন, ‘তারা অক্সিজেন সিলিন্ডার নিতে এসেছিলেন। কিন্তু নিয়ম না থাকায় দিতে পারিনি।’
এদিকে রামুর মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে মেডিক্যালে অবস্থান নেন বিশ্ববিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীরা। মেডিক্যালের বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগ তুলে কাজ বন্ধ রাখার হুঁশিয়ারি দেন তারা।
পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর আ স ম ফিরোজ উল হাসান, কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক যুগল কৃষ্ণ দাস ও প্রাণরসায়ন ও অনুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক সোহেল আহমেদ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
অধ্যাপক যুগল কৃষ্ণ দাস বলেন, ‘উপাচার্যের সঙ্গে কথা হয়েছে। যিনি মারা গেছেন তিনি তো আর ফিরে আসবেন না। তবে তার ছেলেকে চাকরির ব্যবস্থা করে দেয়া হবে। এ ছাড়া যে অভিযোগ উঠেছে তা খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’