মাদারীপুরের কালকিনিতে আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থীর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন দলটির স্থানীয় নেতা-কর্মী ও মনোনয়নবঞ্চিত আরেক প্রার্থী।
উপজেলার চর দৌলতখান (সিডি খান) ইউনিয়নে প্রার্থী চান মিয়া শিকদারের বিরুদ্ধে এ বিক্ষোভ করা হয়।
সোমবার সন্ধ্যা থেকে মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত দফায় দফায় আন্দোলন করেন বিক্ষুব্ধরা। মঙ্গলবার দুপুরে ভূরঘাটা-মোল্লারহাট সড়কের বটতলা মোড়ের সড়কে ঘণ্টাব্যাপী টায়ারে আগুন দিয়ে অবোরোধ করে পথসভা করা হয়।
সরেজমিনে জানা যায়, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ থেকে দলীয় মনোনীত প্রার্থীদের নামের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। এর মধ্যে সিডি খান ইউনিয়নে মনোনয়ন পান বর্তমান চেয়ারম্যান চান মিয়া শিকদার। তার বিরোধিতায় মাঠে নামে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের একটি বড় অংশ।
সোমবার বিকেল ৫টার দিকে প্রায় ৫০০ নেতা-কর্মী ও সাধারণ ভোটারদের নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন মনোনয়নবঞ্চিত প্রার্থী মিলন মিয়া।
মঙ্গলবার ভূরঘাটা-মোল্লারহাট সড়কে প্রায় দেড় ঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ থাকে। পরে কালকিনি থানার পুলিশ সেখানে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়।
মনোনয়ন পাওয়া চান মিয়া শিকদার বলেন, ‘আমি ইউনিয়ন আ.লীগের সভাপতি। আমি তো উড়ে এসে জুড়ে বসি নাই। যারা আমার বিরোধিতা করছে, তাদের প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হবে।
‘নৌকা প্রধানমন্ত্রী আমাকে দিয়েছেন। আমি সেটা রক্ষা করে বিজয়ী হব। কোনো শক্তি আমাকে দমাতে পারবে না। এখন কিছু নেতা আমাকে হেয় করার চেষ্টা করছে। তাদের আশা পূরণ হবে না।’
এ ব্যাপারে কালকিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল মান্নান সরদার বলেন, ‘আমরা ইউনিয়ন থেকে নেতা-কর্মীরা যাচাই-বাছাই করে মিলন মিয়ার নাম পাঠিয়েছি। কিন্তু কিসের জোরে চান মিয়া নৌকার মনোনয়ন পেল, বুঝি না।
‘যদি নৌকা টাকার কাছে বিক্রি হয়ে যায়, তাহলে আর দল করে কোনো লাভ নাই। আমরা মিলন মিয়াকেই প্রার্থী করব। নৌকা না পাইলেও তিনি আওয়ামী লীগের লোক।’
কালকিনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইশতিয়াক আসফাক রাসেল জানান, ঘটনার পর থেকে ওই এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। নির্বাচনের আগ থেকেই সিডি খান ইউনিয়নকে অধিক ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। আগামী ১১ নভেম্বর মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার ১৩ ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।