‘আয়কর মেলা’ না হলেও করদাতাদের যেন ভোগান্তিতে পড়তে না হয়, সে জন্য কর অঞ্চলেই একই রকম সুবিধা রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড।
আয়কর মেলায় যত রকম সেবা পাওয়া যেত, সব সুবিধা পাওয়া যাবে কর অঞ্চলের অফিসগুলোতে।
আগামী ১ নভেম্বর থেকে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত মেলার আবহে এই রিটার্ন জমা নেয়া হবে।
করোনা সংক্রমণের কারণে গত বছরের মতো এবারও জাতীয় পর্যায়ে আয়কর মেলা না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে এনবিআর। আয়কর দিবসে ২০১০ সাল থেকে দেশব্যাপী এই মেলার আয়োজন করে আসছিল এনবিআর।
৩০ নভেম্বর জাতীয়ভাবে আয়কর দিবস পালন করা হয় এবং ওই দিনই ব্যক্তিশ্রেণির আয়কর রিটার্ন জমা দেয়ার শেষ দিন।
ব্যক্তির আয় থাকুক আর না থাকুক, আইনে বার্ষিক আয়কর রিটার্ন জমা দেয়া বাধ্যতামূলক। যথাসময়ে রিটার্ন জমা না দিলে জরিমানাসহ সুদ গুনতে হয়। তবে নির্ধারিত সময় পার হলেও সময় চেয়ে আবেদন করা যায়।
বর্তমানে টিআইএন রয়েছে এমন লোকের সংখ্যা ৬২ লাখ ছাড়িয়ে গেছে। কিন্তু বার্ষিক রিটার্ন দাখিল করে মাত্র ২৫ লাখ।
এনবিআরের অধীনে সারা দেশে ৩৩টি কর অঞ্চল রয়েছে। এর মধ্যে রাজধানী ঢাকাতে সবচেয়ে বেশি। এসব কর অঞ্চলে শামিয়ানা টাঙিয়ে আলাদা বুথ করা হবে। যে করদাতা যে কর অঞ্চলে অধিভুক্ত, সেই করদাতা সংশ্লিষ্ট অঞ্চলে সেবা পাবেন।
করদাতাদের সেবা নিশ্চিত করতে এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিমের নেতৃত্বে ১১ সদস্যের স্টিয়ারিং কমিটি গঠন করা হয়েছে।
যেসব সেবা মিলবে
প্রত্যেক কর অঞ্চলের উন্মুক্ত জায়গায় রিটার্ন গ্রহণ, বুথ ও হেল্প ডেস্ক স্থাপন করা, রিটার্ন দাখিলকারী করদাতাদের তাৎক্ষণিক প্রাপ্তি স্বীকারপত্রের সঙ্গে রিটার্ন দাখিলে উৎসাহ দিতে উপহারসামগ্রী দেয়া হবে।
সব কর কমিশনার সেবাকেন্দ্রে ই-টিআইএন রেজিস্ট্রেশন ও রি-রেজিস্ট্রেশনের ব্যবস্থা, কর অঞ্চলের নিজস্ব ওয়েবসাইট তথ্যসহ হালনাগাদ করা, ওয়েবসাইটে আয়করসংক্রান্ত বিভিন্ন ফরম, পরিপত্র, রিটার্ন পূরণের নির্দেশিকা, ভিডিও টিউটোরিয়ালসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় তথ্য সন্নিবেশ করা থাকবে।
কর অঞ্চলগুলোর নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় প্রচার-প্রচারণাও অব্যাহত রাখা হবে।
কর অঞ্চল-৪-এর ব্যবস্থাপনায় সচিবালয়ের সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য সচিবালয় ও অফিসার্স ক্লাবের সদস্যদের জন্য অফিসার্স ক্লাবে রিটার্ন গ্রহণ, বুথ ও হেল্প ডেস্ক স্থাপনের মাধ্যমে সেবা প্রদান করা হবে।
সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের জন্য সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের সঙ্গে আলোচনা করে ২ নভেম্বর করদাতাদের রিটার্ন গ্রহণ ও কর তথ্য সেবা প্রদান করা হবে।