রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা মামলায় প্রবাসী সাংবাদিক কনক সরওয়ারের বোন নুসরাত শাহরিন রাকার জামিন নাকচ করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছে আদালত।
ঢাকা মহানগর হাকিম মামুনুর রশীদ শুনানি শেষে মঙ্গলবার এ আদেশ দেন।
৬ অক্টোবর ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় রাকার তিন দিন এবং মাদক মামলায় দুই দিনের রিমান্ড আদেশ দেয় আদালত।
প্রথমে মাদক মামলায় রিমান্ডে নিয়ে রাকাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। পরে রিমান্ড বিষয়ে আদালতকে জানিয়ে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে তাকে আরও তিন দিন জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
রিমান্ড শেষে মঙ্গলবার রাকাকে আদালতে হাজির করে ওই মামলায় কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা উত্তরা পশ্চিম থানার এসআই বদরুল মিল্লাত।
আবেদনে বলা হয়, আসামিকে উচ্চ আদালতের নির্দেশনামতে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন, যা যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। আসামির প্রায় সব আত্মীয়স্বজন দেশের বাইরে থাকেন। তাই তার বিদেশে পালিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
তাই তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা।
আসামিদের পক্ষে ঢাকা বারের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ওমর ফারুক ফারুকী জামিনের আবেদন করেন। তিনি বলেন, ‘রাকাকে জেলে রাখার কোনো উপাত্ত নেই। তাকে দুই মামলায় পাঁচ দিনের জিজ্ঞাসাবাদে কোনো অগ্রগতি নেই। পুলিশ বলছে, মুক্তি পেলে তিনি বিদেশ চলে যাবেন। কিন্তু তিনি কেমনে যাবেন বিদেশে। তার পাসপোর্ট তো আগেই জব্দ করা হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘গত ২৭ নভেম্বর রাকা জানতে পারেন তার নামে ফেসবুকে একটি ভুয়া আইডি খোলা হয়েছে। ১ অক্টোবর তিনি উত্তরা পশ্চিম থানায় এ বিষয়ে একটি জিডি করেন। পরে পুলিশই আবার তাকে গ্রেপ্তার করে। সাংবাদিক কনক সরওয়ার তার ভাই। বিদেশে বসে তিনি সরকার ও দেশ নিয়ে আলোচনা করেন। সেসব তার নিজের বিষয়।’
রাকা তার বোন, শুধু এ জন্যই তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে আদালতকে জানান তিনি।
এ সময় রাষ্ট্রপক্ষ থেকে জামিনের বিরোধিতা করা হয়।
সংশ্লিষ্ট থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন শাখার কর্মকর্তা পুলিশের উপপরিদর্শক লিয়াকত আলী বিষয়টি নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেন।
৪ অক্টোবর দিবাগত রাতে রাজধানীর উত্তরায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করেন র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের সদস্যরা।