বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সাজার বিরুদ্ধে আপিল করবেন বাবর

  •    
  • ১২ অক্টোবর, ২০২১ ১৬:৫৯

বাবরের আইনজীবী আমিনুল ইসলাম জানান, এ মামলায় ২০০৭ সালের ২৬ জুলাই থেকে গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে আছেন বাবর। তিনি ১৪ বছরের অধিক সময় ধরে এ মামলায় কারাগারে আছেন। তাই মোট সাজার প্রায় তিন গুণ দণ্ড ইতিমধ্যে ভোগ করেছেন। সে হিসেবে এই মামলায় তার মুক্তি পেতে বাধা নেই৷

অবৈধ সম্পদ অর্জন ও তথ্য গোপনের মামলায় বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরের ৮ বছর কারাদণ্ড হয়েছে। সে সাজার বিরুদ্ধে আপিল করবেন বলে জানিয়েছেন বাবর।

তার বিরুদ্ধে পৃথক দুটি অভিযোগে তাকে এই সাজা দেয়া হয়। যার মধ্যে দুদক আইনের ২৬(২) ধারায় তিন বছর ও ২৭(১) ধারায় পাঁচ বছরের কারাদণ্ড এবং ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরো তিন মাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।

আদালত উল্লেখ করেছে, উভয় সাজা একসঙ্গে চলবে।

এ কারাদণ্ডের আদেশ পড়ে শোনান ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৭-এর বিচারক মো. শহিদুল ইসলাম।

দুটি ধারায় আট বছরের দণ্ড হলেও তাকে পাঁচ বছর দণ্ড ভোগ করতে হবে বলে রায়ে উল্লেখ করেন বিচারক।

বাবরের আইনজীবী আমিনুল ইসলাম জানান, এ মামলায় ২০০৭ সালের ২৬ জুলাই থেকে গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে আছেন বাবর। তিনি ১৪ বছরের অধিক সময় ধরে এ মামলায় কারাগারে আছেন। তাই মোট সাজার প্রায় তিন গুণ দণ্ড ইতিমধ্যে ভোগ করেছেন। সে হিসেবে এই মামলায় তার মুক্তি পেতে বাধা নেই৷

আদালতের কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে থাকা লুৎফুজ্জামান বাবর বলেন, ‘সাজার মেয়াদ শেষ হলেও তিনি আপিল করবেন।

তিনি বলেন, ‘একটি মিথ্যা অভিযোগে আমাকে দণ্ডিত করা হয়েছে, তাই এ দণ্ডের বিরুদ্ধে আপিল করব।’

রায় ঘোষণার পর বাবরকে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করেন, আপনি এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করবেন কি না? জবাবে তিনি আবারও বলেন, ‘অবশ্যই আপিল করব। আমি কোনো অপরাধ করিনি। তারপরও সাজা হয়েছে। যেহেতু সাজার দায় ঘাড়ে থাকল, আমি অপরাধী সাব্যস্ত হলাম। অবশ্যই আমি আপিল করব।’

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় ২০০৭ সালের ২৮ মে যৌথ বাহিনীর হাতে গ্রেপ্তার বাবরের বিরুদ্ধে মামলাটি রমনা থানায় করা হয় ২০০৮ সালের ১৩ জানুয়ারি।

মামলাটি করেন সমন্বিত জেলা কার্যালয় চট্টগ্রাম-১-এর সহকারী পরিচালক মির্জা জাহিদুল আলম। তদন্ত শেষে ওই বছরের ১৬ জুলাই দুদকের উপসহকারী পরিচালক রূপক কুমার সাহা আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন।

মামলায় বাবরের বিরুদ্ধে ৭ কোটি ৫ লাখ ৯১ হাজার ৮৯৬ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়। এর মধ্যে বাবর দুদকে ৬ কোটি ৭৭ লাখ ৩১ হাজার ৩১২ টাকার সম্পদের হিসাব দাখিল করেছিলেন।

সাবেক এই প্রতিমন্ত্রীর বিরুদ্ধে প্রাইম ব্যাংক ও এইচএসবিসি ব্যাংকের দুটি এফডিআরে ৬ কোটি ৭৯ লাখ ৪৯ হাজার ২১৮ টাকা এবং বাড়ি নির্মাণ বাবদ ২৬ লাখ ৪২ হাজার ৬৭৮ টাকা গোপনের অভিযোগ আনা হয়।

বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সাবেক এই প্রতিমন্ত্রীকে ২০১৪ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি ১০ ট্রাক অস্ত্র মামলায় এবং ২০১৮ সালের ১০ অক্টোবর ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়।

তাই বাবরের মুক্তির কোনো সুযোগ নেই।

এ বিভাগের আরো খবর