বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

জ্বরে শিশুর মৃত্যু, হত্যা সন্দেহে ময়নাতদন্ত

  •    
  • ১২ অক্টোবর, ২০২১ ১৪:১৯

রানীর বাবা আব্দুর রাকিব ও মা ঝর্ণা খাতুনের বরাত দিয়ে ওসি জানান, পারিবারিক কলহের জেরে ওই দম্পতির বিয়ে বিচ্ছেদ হয় ২০১৪ সালে। এরপর থেকে রানীকে নিয়ে ঝর্ণা তার বাবার বাড়িতে থাকতেন। রানী বাবার বাড়িতে যাওয়া-আসা করত।

ঝিনাইদহ সদরের চুটলিয়া গ্রামে দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রী রানী খাতুনের মৃত্যু হয়েছে গত রোববার। রানীর মা জানান, নানাবাড়িতে দুই দিন জ্বরে ভুগে মারা গেছে তার মেয়ে। তবে রানীর বাবার অভিযোগ, নানাবাড়িতে নির্যাতনের কারণে তার মৃত্যু হয়েছে।

রানীকে নির্যাতন করে হত্যার অভিযোগ ওঠায় মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মো. সোহেল রানা।

রানীর বাবা আব্দুর রাকিব ও মা ঝর্ণা খাতুনের বরাত দিয়ে ওসি জানান, পারিবারিক কলহের জেরে ওই দম্পতির বিয়ে বিচ্ছেদ হয় ২০১৪ সালে। এরপর থেকে রানীকে নিয়ে ঝর্ণা তার বাবার বাড়িতে থাকতেন। রানী বাবার বাড়িতে যাওয়া-আসা করত।

ঝর্ণা জানান, গত ১০ অক্টোবর বাবার বাড়ি থেকে জ্বর নিয়ে বাসায় আসে রানী।

ঝর্ণা বলেন, ‘রাত ১০টার দিকে ওর গায়ে জ্বর ছিল, কাশিও ছিল। আমি কম্বল গায়ে জড়িয়ে দিয়েছিলাম। রানী টিভি দেখছিল। আমি ঘুমিয়ে পড়েছিলাম। রাত ২টার দিকে উঠে দেখি ও বিছানায় নেই। পরে আমার বাবাকে ডেকে বাইরে বের হলে দেখি বাথরুমের সামনে মুখ থুবড়ে পড়ে আছে।’

নানা ইলিয়াস কাজী বলেন, ‘আমি ওকে ঘাড়ে তুলে ঝাঁকি দেই। তারপর দেখি সে মারা গেছে। ওর গায়ে জ্বর ছিল খুব।’

রানীর বাবা আব্দুর রাকিব অভিযোগ করেন, ‘আমার মেয়েকে মারধর করেছে। মারধরের কারণেই ও মারা গেছে। জ্বরে কেউ মারা যায় নাকি?’

কেন নির্যাতন করা হবে? জবাবে রাকিব বলেন, ‘রানীর মা আরেকটা বিয়ে করেছে, সেটায় ঝামেলা হয়েছিল বলে শুনেছি। এখন আবার নাকি বিয়ে করবে। এসব নিয়ে কিছু একটা হয়েছে, যার কারণে আমার মেয়েকে মারধর করা হয়েছে।’

তবে সুনির্দিষ্টভাবে কোনো অভিযোগ তিনি জানাতে পারেননি।

রাকিবের অভিযোগ মিথ্যা জানিয়ে ঝর্ণা বলেন, ‘আমাদের হয়রানি করার জন্য এসব অভিযোগ করা হচ্ছে। নিজের মেয়েকে মারব কেন আমি?’

এ বিষয়ে ওসি সোহেল রানা বলেন, ‘অভিযোগ পেয়ে পরদিনই আমরা মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে পাঠিয়েছি। প্রতিবেদন পেলে বোঝা যাবে কী কারণে মেয়েটি মারা গেছে।’

এ বিভাগের আরো খবর