ময়মনসিংহের নান্দাইলে মাদ্রাসা শিক্ষক শাকিল মাহমুদ তামীমের বিরুদ্ধে এক শিশুকে বলাৎকারের অভিযোগ উঠেছে।
শিক্ষক শাকিল উপজেলার চন্ডিপাশা ইউনিয়নের ধূরুয়া গ্রামের বাসিন্দা। তিনি একই উপজেলার আঠারোবাড়ি আঞ্চলিক সড়কের পাশে অবস্থিত দারুল সালাম ক্যাডেট মাদ্রাসার শিক্ষক।
১১ বছরের ওই শিক্ষার্থীর বাড়ি নেত্রকোণার কেন্দুয়া উপজেলার একটি গ্রামে। সে এই মাদ্রাসার হিফয বিভাগের ছাত্র।
নিউজবাংলাকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন নান্দাইল মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ওবায়দুর রহমান।
শিশুর মায়ের বরাত দিয়ে তিনি বলেন, ‘উপজেলার চন্ডিপাশা ইউনিয়নের ধূরুয়া গ্রামের রাজু আহমেদের বাড়িতে থেকে ওই মাদ্রাসায় পড়াশোনা করত শিশুটি। গত এক বছরে বিভিন্ন সময়ে তাকে বলাৎকার করা হয়।’
সবশেষ বৃহস্পতিবার রাতে তাকে আবারও নির্যাতন করা হলে মাদ্রাসার অন্য এক শিক্ষককে বিষয়টি জানায় সে। কিন্তু প্রতিকার না পেয়ে পরদিন সকালে কাউকে না বলে নিজ বাড়িতে চলে যায় শিশুটি।
বাড়িতে চলে আসার কারণ জানতে চাইলে প্রথমে কিছু বলতে চায়নি ছেলেটি। মাদ্রাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য তাকে চাপ দিলে গত রোববার বিষয়টি খুলে বলে সে। অভিযোগ জানাতে মা তার ছেলেকে নিয়ে মাদ্রাসায় যাচ্ছেন এ কথা ওই শিক্ষক জানতে পেরে সোমবার সকালে ঈশ্বরগঞ্জের আঠারোবাড়ি এলাকায় অবস্থান নেন। পরে রাস্তায় শিশুর মায়ের কাছে ক্ষমা চান শিক্ষক। এর পর তিনি আত্মগোপন করেন।
নান্দাইল মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান আকন্দ বলেন, সোমবার রাত ১১টার দিকে ওই শিশুসহ তার মা থানায় মামলা করতে এসেছিল। কিন্তু স্বামীর সঙ্গে পরামর্শ করতে আবারও বাড়ি চলে যায়। অভিযোগ পেলে ওই শিক্ষককে আটক করা হবে।